
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে মুখ খুললেন আলোচিত সেই টেসলা গাড়ি নিয়ে, যেটি তিনি কিনেছিলেন চলতি বছরের মার্চে হোয়াইট হাউসে একটি অনুষ্ঠানে। সে সময় এলন মাস্কের টেসলা ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে মাস্কের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল গাড়িটির ভবিষ্যৎ কী?
গত সপ্তাহে এলন মাস্কের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের অবসান ঘটে ট্রাম্পের। মাস্কের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত "Department of Government Efficiency"-তে জনকল্যাণমূলক ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন এই বিলিয়নিয়ার। এর মাঝেই হোয়াইট হাউসে বসানো টেসলা মডেল এস গাড়ি ও মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সরাসরি প্রশ্ন রাখেন এক সাংবাদিক: “আপনি কি হোয়াইট হাউসে থাকা টেসলা গাড়ি ও স্টারলিংক ব্যবস্থা সরিয়ে দিচ্ছেন?”
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “না, আমি তেমন কিছু শুনিনি। হয়তো টেসলাটিকে একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখব, কিন্তু স্টারলিংকের ক্ষেত্রে সেটা করছি না। এটা খুব ভালো একটি সার্ভিস।”
সাংবাদিক এরপর আবার জিজ্ঞেস করেন, “টেসলাটি কোথায় সরিয়ে নিতে চান? ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখবেন মানে কী?”
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমার অনেক জায়গা আছে। এত জায়গা আছে যে কোনটা রেখে কোনটা বাদ দেব, সেটাই বুঝে উঠতে পারি না।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, এলন মাস্কের সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও, তার টেসলা গাড়ির প্রতি আগ্রহ এখনও ফুরায়নি। স্টারলিংক সেবাও তিনি সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে স্পষ্ট রাজনীতির ময়দানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের অনেক হিসেব-নিকেশ থাকলেও, প্রযুক্তি ও কার্যকারিতা নিয়ে তার অবস্থান এখনো বাস্তববাদী।
এখন দেখার বিষয়, মাস্কের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও, টেসলা ও স্টারলিংকের ব্যবহার ট্রাম্প প্রশাসনে কতটা টিকে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রযুক্তি ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের এই মিশ্রণ নিঃসন্দেহে নজর কাড়ছে গোটা বিশ্বের।
সূত্র:https://tinyurl.com/37vjmecp
আফরোজা