ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এই ৩ কারণে প্রোটিন পাউডার বাদ দিন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১১ জুন ২০২৫

এই ৩ কারণে প্রোটিন পাউডার বাদ দিন

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন ব্যায়ামের পর প্রোটিন শেক খাওয়া ছিল অনেকের অভ্যাস। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে, তাদের ব্যায়ামের পর প্রোটিন গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যার শক্তি দেওয়ার কথা, তা-ই বরং অস্বস্তিতে ফেলছে।

প্রোটিন শেক নিয়মিত খেলে শরীরে হালকা ফোলাভাব, গ্যাসের সমস্যা, হজমে অস্বস্তি—এই উপসর্গগুলো দিনকে দিন বাড়তে থাকে। 

অতিরিক্ত প্রোটিন—বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত প্রোটিন পাউডার—হজম ক্ষমতার ওপর চাপ তৈরি করে। 

১. প্রোটিন পাউডার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে
ডায়েটিশিয়ান জেসিকা শ্যান্ড বলছেন, অনেক নিম্নমানের প্রোটিন পাউডারে ব্যবহৃত হয় গরু বা সয়াবিনের প্রক্রিয়াজাত অংশ, কৃত্রিম সুইটেনার, গাম, থিকনার—যেগুলো পাকস্থলীতে গ্যাস, ফোলাভাব ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

তাছাড়া অনেক প্রোটিন পাউডারে থাকে ডেইরি-জাত প্রোটিন, যেমন হুই বা কেসিন, যা দুধ সহ্য করতে না পারা মানুষদের জন্য হজমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

২. অতিরিক্ত প্রোটিন ডায়রিয়া ও গ্যাসের কারণ
হজম না হওয়া প্রোটিন পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে অন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট করে। এটা শরীরচর্চার উপকার না করে বরং ক্ষতিই করে।

৩. কৃত্রিম সুইটেনার ও অ্যাডিটিভে অ্যালার্জি

অনেকের পছন্দের প্রোটিন পাউডার ছিল স্ট্রবেরি ও চকলেট ফ্লেভার। এই স্বাদের আড়ালে ছিল অ্যাসপারটেম ও অ্যাসেসালফেম কে-এর মতো কৃত্রিম সুইটেনার—যা হে ফিভার ও এলার্জির অন্যতম কারণ।

কীভাবে এখন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা যায়?
প্রোটিন শেক বাদ দিয়ে অ্যামিনো অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এগুলো হজমে সহজ, অন্ত্রে খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। বিশেষত EAA ও BCAA—দুই ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড—শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে, তাই ব্যায়ামের পরেও উপকার মেলে।

কোন প্রোটিন পাউডার গ্রহণযোগ্য?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রোটিন পাউডার কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে যেন উপাদানগুলো সহজবোধ্য হয়, যেন তাতে থাকে না কৃত্রিম রং, সুইটেনার, বা প্রক্রিয়াজাত তেল। যতটা সম্ভব অর্গানিক বা ন্যাচারালি ফ্লেভারড পাউডার বেছে নেওয়া ভালো।

মুমু ২

×