
রিমান্ডে থাকা আসামিদের কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার থেকে গ্রহণ করে নিজে না এসে কনস্টেবলের মাধ্যমে রৌমারী থানায় পাঠানোর ঘটনায় এএসআই হাবিবুর রহমানকে ক্লোজ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ওই রিমান্ডের আসামিদেরকে রহস্যজনক কারণে “জামাই আদর” করার অভিযোগে এসআই আব্দুল আওয়ালকে ঢুষমারা থানায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এই আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ নন্দনাল চৌধুরী।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আলগারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪৯) ও তার ছেলে মানিক মিয়া (২৯)-কে আটক করে পুলিশ।
এ সময় মাদক কারবারিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ নিজেদের আত্মরক্ষার্থে ঘটনাস্থলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ ৪০-৫০ জনের নামে মাদক মামলা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়।
আটককৃত আসামি আনোয়ার হোসেন ও মানিক মিয়াকে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) তাদেরকে আনতে রৌমারী থানার এএসআই হাবিবুর রহমান দুই কনস্টেবলসহ কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে যান এবং সেখান থেকে দুই আসামিকে বুঝে নেন। কিন্তু তিনি নিজে তাদের সঙ্গে না এসে কনস্টেবলদের মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হলে এএসআই হাবিবুর রহমানকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
অপরদিকে, থানায় রিমান্ডে থাকা আসামিদের "রহস্যজনক আপ্যায়ন বা জামাই আদর" করার অভিযোগে এসআই আব্দুল আওয়ালকে ঢুষমারা থানায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ নন্দনাল চৌধুরী বলেন, "কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এএসআই হাবিবুর রহমানকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ এবং এসআই আব্দুল আওয়ালকে ঢুষমারা থানায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।"
সজিব