
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের বিধবা, অসহায়, দুস্থ ও প্রতিবন্ধী নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের মহিষবান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই শাড়ি বিতরণ করা হয়। রোটারী ক্লাব অব উত্তরা, ঢাকা-এর ব্যবস্থাপনায় এবং রিয়েল চেঞ্জ অব বাংলাদেশ (আরসিবি)-এর সহযোগিতায় ২০ জন নারীকে এই শাড়ি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রোটারী ক্লাব অব উত্তরার সদস্য রোটারীয়ান আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এবং রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান, আরসিবির উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, গণমাধ্যমকর্মী ও আরসিবির উপদেষ্টা সুদীপ্ত শামীম, আরসিবির সভাপতি হাবিবুল্লাহ্ সরকার, অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান, সদস্য মো. মেহেদী হাসান, নুরুন্নবী মিয়া, রাকিবুল সরকার রাকিব প্রমূখ।
শাড়ি পেয়ে আনন্দিত রাবেয়া বেগম বলেন, ‘এই বয়সে কেউ খোঁজ নেয় না। ঈদের সময় নতুন শাড়ি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আল্লাহ যেন এই ভালো মানুষগুলোর মঙ্গল করেন।’ লাইজু বেগম বলেন, ‘আমার নিজের কেনার সামর্থ্য ছিল না। হঠাৎ শাড়ি পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। অনেক দিন পর মনে হলো, কেউ আমাদের কথাও ভাবে।’
রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সরকার মাজহারুল মান্নান বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো একান্তই মানবিক কর্তব্য। তাদের জীবনে একটু ভালোবাসা, সম্মান এবং সহায়তা পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এই ধরনের উদ্যোগ মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালায় এবং সমাজে সাম্যের বীজ বপন করে। আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ যে, এমন এক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি, যা মানুষের জন্য সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে।’
রোটারী ক্লাব অব উত্তরার সদস্য রোটারীয়ান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে যদি কারও মুখে একটুখানি হাসি ফোটানো যায়, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া, সুবিধাবঞ্চিত, বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের মুখে হাসি ফোটানো এবং ঈদের আনন্দে তাদের শরিক করতেই এই সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের নারীরা প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতা ও অভাব-অনটনের সঙ্গে লড়াই করে জীবনযাপন করেন। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানোকে একটি মানবিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছে আয়োজকরা। ভবিষ্যতেও তারা অসহায় ও অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে নিয়মিত মানবিক সহায়তা ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আঁখি