
ভারতের হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা শ্বেতা খানের কাণ্ডকারখানা প্রকাশ্যে এসেছে সোদপুরের এক তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে। অভিযোগ, প্রায় পাঁচ মাস তাঁকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছেন শ্বেতা এবং তাঁর ছেলে আরিয়ান।
অভিযোগের পর দিন দু দিন কেটে গিয়েছে। এখনও পুলিশ খুঁজে পায়নি সোদপুরের তরুণীকে নিগ্রহে অভিযুক্ত শ্বেতা খান এবং তাঁর পুত্র আরিয়ান খানকে।
মা-ছেলের বিরুদ্ধে পর্ন ভিডিয়ো বানানো থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তরুণীদের দেহব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি ওরফে মহসিনা খাতুনের প্রাক্তন স্বামীর দাবি, তাঁদের সংসার তছনছ হয়ে গিয়েছে। মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছেলে ভুলপথে! এ সবের জন্য দায়ী তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী।
হুগলির ফুরফুরায় থাকেন মোহাম্মদ সৈয়দ মোরসেলিম। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, শুধু সম্পত্তির লোভে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। কিন্তু স্ত্রীর স্বেচ্ছাচারিতা এবং অত্যাচারের জন্য বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন। অন্য দিকে, পর্নকাণ্ড এবং তরুণীকে নির্যাতনে অভিযুক্তা শ্বেতার সঙ্গে শাসকদলের যোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ায়।
এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী অরূপ রায়ের প্রতিক্রিয়া, যদি তৃণমূলের কোনও পদে থেকে থাকেন ওই মহিলা, সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সোদপুর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্বেতার প্রাক্তন স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। হাওড়ার মঙ্গলাহাট এবং কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কাপড়ের ব্যবসা ছিল মোরসেলিমের। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘টাকা এবং সম্পত্তির লোভে আমায় বিয়ে করেছিল ওই মহিলা। তার পর থেকে শুধুই অশান্তি। ও আমার গায়ে হাত তুলত। আমার পরিবারের লোকজনকেও মারধর করত। বাড়িতেই অন্য পুরুষবন্ধুদের ডেকে নিয়ে গিয়ে ফুর্তি করত।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, হাসপাতালে যখন তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে ভর্তি করানো হয়েছিল, তখন বাড়ির দলিল নিয়ে গিয়ে নিজের নামে সম্পত্তি লিখিয়ে নেন শ্বেতা। প্রাক্তন স্বামীর কথায়, ‘‘গোটা পরিবারটাকে শেষ করে দিয়েছে ও।’’ অন্য দিকে, শ্বেতার দ্বিতীয় স্বামীর খোঁজ মেলেনি।
ফুয়াদ