ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নন্দনগাছিতে আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে রেলপথ অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১১ জুন ২০২৫

নন্দনগাছিতে আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে রেলপথ অবরোধ

ছবি: জনকণ্ঠ

রাজশাহীর নন্দনগাছি রেলস্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নন্দনগাছিতে রেলপথ অবরোধ করে রাখা হয়। এতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন গন্তব্যের কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে।
সকালে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন সবার প্রথমে আটকা পড়ে। এরপর ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ও চিলাহাটিগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস আরেকটি স্টেশনে রাখা হয়। আর ঢাকাগামী বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী স্টেশনে থেকে যায়। আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলে ট্রেনগুলো ছেড়ে যায়।


অবরোধের ফলে কার্যত রাজশাহী থেকে সারাদেশের সঙ্গে তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্ত্যব্যে ফেরা মানুষ এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোরে নন্দনগাছি স্টেশনের দুই পাশে লাল নিশান দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। এরপর তারা সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন।
তাদের দাবি, নন্দনগাছি স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে হবে এবং স্টেশন সংস্কার করতে হবে। এই দাবি না মানা হলে আবারও ২০ তারিখ রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।


বুধবার প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ থাকার পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান। তারা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। পরে সেখানে যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তিনি সবাইকে রেলপথ থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ থাকবে। এখানে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চলবে না। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তারা রেলপথ ছেড়ে দেন।


এর আগে একই দাবিতে গেল ১ মে আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন মানুষ। সেদিন রাজশাহী ও চিলাহাটির মধ্যে চলাচল করা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেইল ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, নন্দনগাছি রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থামানোর জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে। এর আগেও তারা অবরোধ করেছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। তারা ঈদের এই সময় অবরোধ করে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছেন।
 

সাব্বির

×