ছবি:সংগৃহীত
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম এক টেলিভিশন টকশোতে মন্তব্য করেছেন যে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যেকোনো ইতিবাচক উদ্যোগকে প্রশংসার সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, "ড. ইউনূস একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। বাংলাদেশকে গৌরবের শিখরে তিনি পৌঁছিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।"
ব্যারিস্টার অসীম বলেন, "আমি ধোঁয়াশা দেখি না, বরং আশা করি কুয়াশা কেটে যাবে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গেছেন, তাঁর হয়তো অন্য প্রোগ্রাম ছিল, সেটা আমি নিশ্চিত নই, তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন—এটা জনস্বার্থের একটি বিষয়।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হয়তো দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর নিজস্বও একটি ভূমিকা রয়েছে। তিনি বয়সে তারেক রহমানের চেয়ে বড় হলেও এটা কোনো দ্বন্দ্বের বিষয় নয়। বরং নেতৃস্থানীয় হিসেবে তিনি যদি কোনো উদ্যোগ নেন, সেটা ছোট হওয়ার কিছু নয়।"
তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার অসীম বলেন, "গত ১৫ বছরে তিনি বিএনপিকে একত্রিত রেখে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ভূমিকার মাধ্যমেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজনৈতিক স্পার্ক দেখা গেছে। সেই স্পার্ককে জ্বালানি জুগিয়েছেন তারেক রহমান।"
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর ‘ফটোকার্ড’ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বার্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, "এগুলো বিভ্রান্তিকর। কোনো সিদ্ধান্ত বা বার্তা প্রকাশিত হলে তা দলীয়ভাবে স্পষ্টভাবে জানানো হয়।"
বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, "গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। আন্দোলন বিমুখ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিএনপি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানে বিশ্বাসী।"
তবে তিনি দাবি করেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ‘আন্দোলনের হুশিয়ারিতে অসন্তুষ্ট’ এবং ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন’—এই ধরনের বার্তা সত্য নয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কিছু হতাশা প্রকাশ পেলেও, এমন কোনো হুশিয়ারির বিরোধিতা বা আলাপ-আলোচনার নির্দেশের মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে যে, বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি ও আলোচনা নির্ভর সমাধানে আগ্রহী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর বার্তা সম্পর্কে জনগণ ও গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
মারিয়া
