ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরের একটি মাধ্যমিক স্কুলে মঙ্গলবার বন্দুকধারীর হামলায় ১০ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতজনই শিক্ষার্থী। হামলাকারী ২১ বছর বয়সী এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যিনি ঘটনার পর স্কুলের বাথরুমে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীর দুটি আগ্নেয়াস্ত্রই বৈধভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছিল এবং তার কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না। হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রে হাজারো মানুষ মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শহরজুড়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।
চ্যান্সেলর ক্রিশ্চিয়ান স্টকার বলেন, “একটি স্কুল নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের প্রতীক—আজ সেটাই ভেঙে পড়েছে।” প্রেসিডেন্টের কার্যালয়সহ সরকারি ভবনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
এ ঘটনার সময় বহু শিক্ষার্থী ভবনের বাইরে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ রক্ষা করে। স্থানীয়রা জানায়, তারা গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে পুলিশে ফোন করে।
ঘটনার পর স্থানীয় ব্লাড ব্যাংকে রক্তদাতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অনেকে বলেন, “আমরা অসহায় অনুভব করছি, কিছু করতে চেয়েছি, তাই রক্ত দিতে এসেছি।”
এটি অস্ট্রিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ স্কুল হামলা। ২০২০ সালে ভিয়েনায় একটি সন্ত্রাসী হামলায় চারজন নিহত হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি
আবির
