
ছবি: সংগৃহীত।
মরুভূমি বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশাল বালুর পাহাড়, উত্তপ্ত সূর্য আর শুষ্ক বাতাসের দৃশ্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মরুভূমি মানে শুধু গরম নয়—বরং বৃষ্টিপাতের স্বল্পতাই মরুভূমির মূল বৈশিষ্ট্য। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা, যা আয়তনে ৫৫ লক্ষ বর্গমাইল বা ১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
অ্যান্টার্কটিকা একটি ধ্রুবীয় (পোলার) মরুভূমি। এখানে প্রতি বছর খুবই অল্প পরিমাণে তুষার বা বৃষ্টি পড়ে, তাই এটিকে মরুভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও এটি পুরোপুরি বরফে ঢাকা, তবুও এটি পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক জায়গাগুলোর একটি। এখানকার তাপমাত্রা প্রায়শই -৬০°C এর নিচে নেমে যায়, বাতাস থাকে তীব্র এবং পরিবেশ অত্যন্ত প্রতিকূল।
এই বরফে ঢাকা বিশাল অঞ্চল শুধু একটি ভিন্নধর্মী মরুভূমি নয়, বরং এটি পৃথিবীর জলবায়ু ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টার্কটিকার বরফ স্তর এবং ঠান্ডা আবহাওয়া বিশ্বব্যাপী সমুদ্রস্তর ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
অতএব, মরুভূমি মানে শুধু উত্তপ্ত এলাকা নয়, বরং যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত খুব কম হয়, সেটিই প্রকৃত মরুভূমি। সেই হিসেবে, অ্যান্টার্কটিকাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং চরম পরিবেশসম্পন্ন মরুভূমি।
সূত্র: https://h1.nu/100BA
মিরাজ খান