ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কেরানীগঞ্জে সরকারি খালের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি।

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ১২ জুন ২০২৫

কেরানীগঞ্জে সরকারি খালের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ

কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া, রামেরকান্দা,শাক্তা, বাস্তা, শুভাড্ডা সহ কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকার খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। কলাতিয়া ব্রিজ থেকে আটিবাজার জয়নগর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালের দুই পাড়ে খালের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে অনেকে। কেউ আবার দাবি করে খালের মধ্যে তাদের জমি আছে। তাই খালের জমির উপর তারা ভবন বানাচ্ছেন। খাল ভরাট করে নয় নিজস্ব জায়গায় বাড়ি-ঘর বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন বলে তারা দাবি করেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার অনেক ব্যক্তি খালের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অন্যরাও দখলের সাহস পাচ্ছেন। ফলে খালের অধিকাংশ জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কোনো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করায় দখলদারদের কবলে পড়ে দিন দিন খাল গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কেউ আবার খালের ভিতরে নিজের জমি আছে দাবি করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এক সময় এই খাল দিয়ে বড় ট্রলার চলতো আজ তদারকির অভাবে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কয়েকবছর আগে ও খালের উপর কোনো ঘর বাড়ি ছিলো না। বর্তমানে জায়গার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার খালের জায়গা দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণ করেছেন। কেউ কেউ আবার খালের জায়গাকে তার পৈতিক সম্পত্তি হিসেবে দাবি করেন।

খালের জায়গা দখলের বিষয় জানতে চাইলে দখলদার বলেন, আমার জায়গায় আমি বাড়ি নির্মাণের কাজ করছি। এখানে কারো সঙ্গে কথা বলার প্ৰশ্নই আসে না। খাল তো অনেক দূর এটা আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি। এখানে খালের কোনো জায়গা নেই। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছি। সবাই বিষয়টা জানেন। এখন হুট করে বললেই হবে এটা খালের জায়গা।

আরেক দখলদার বলেন, আমার বাপ দাদা চৌদ্দ পুরুষ এই খালের পারে বসবাস করছে। এখন আমি একটু বাড়ির কাজ করতেছি আর অমনি আপনারা আসছেনশ। আপনারা যে কথা বলেন তার কোনো ভিত্তি নেই। এটা আমার বাপ দাদার পৈতিক সম্পত্তি এটা খালের জায়গা না। আমি আমার নিজস্ব জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করছি। খালের উপর নয়।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, সরকারি খাল দখল করে কোনো ঘর বাড়ি, দোকান নির্মাণ করা যাবে না। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি নির্দেশনায় ইতিমধ্যে কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি খাল খননের কাজ চলমান আছে৷ আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি খাল খননের কার্যক্রম গ্রহণ করবো।

রিফাত

×