ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিখোঁজের ৮ দিন পর এক ব্যক্তির খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ১২ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৭, ১২ জুন ২০২৫

নিখোঁজের ৮ দিন পর এক ব্যক্তির খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত

নিখোঁজের ৮দিন পর রাজধানীর সবুজবাগ বাইগদিয়া এলাকার থেকে জাকির হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে সবুজবাগ বাইকদিয়া ঈদগাঁ রোডে একটি ঝোপঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

নিহত জাকির হোসেনের ছোট ভাই মো. সুমন মিয়া জানান, উত্তর মানিকদিয়া বাইকদি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি। স্ত্রী রেখা আক্তার ও দুই মেয়ে, এক ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন জাকির। এলাকায় পুরতান বোতলের ব্যবসা করতেন তিনি। গত ৪ জুন রাত ১১টার পর থেকে তার ভাই জাকিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন জাকিরের স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেন। এরপরও পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। কোথাও না পেয়ে স্ত্রী বাদি হয়ে সবুজবাগ থানা একটি অপহরণ মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, গত ৪ জুন জাকির ত্রিমোহনীর একটি ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা তুলেছিলেন এবং টাকাগুলো নিজের কাছেই রেখেছিলেন। আর ওই রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ হন৷ আজ বৃহস্পতিবার সকালে সবুজবাগ থানার পুলিশের মাধ্যমে তার মরদেহ পাওয়ার সংবাদ পান পরিবার। সুমন অভিযোগ করেন, কয়েক বিঘা সম্পত্তি নিয়ে তার চাচাদের সাথে দ্বীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল তাদের। এই বিরোধের জের ধরে লোক ভাড়া করে তার ভাইকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। খুন করার পর লাশ কয়েক টুকরা করে মাটির মধ্যে পুতে রেখেছে৷

সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুল আমিন জানান, গত ৪ জুন বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হন জাকির হোসেন। এ বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় অপহরণ মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে গিয়ে জাকির হোসেনের প্রতিবেশী আজাহার (৩০) নামে একজনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তার  স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মানিকদিয়া চেয়ারম্যান বাড়ি ঈদগাহ রোডের ঝোপঝাড় থেকে মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি টুকরো করা ৬টি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ডান হাতের টুকরো অংশটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিয়াল বা কুকুর হাতটি খেয়ে ফেলেছে। এই ঘটনায় সন্দেহজনক শুকুর আলী, স্বপন ও রাজিব নামে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। কেন জাকির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

আঁখি

×