
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভারতের একজন ভোটার কীভাবে বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তা নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন। নিটউন দাস নামের এ যুবক আসলে বাংলাদেশ নাকি ভারতের নাগরিক তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তিনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন তা জানা যায়নি।
ভিডিও বার্তায় নিউটন দাস অবশ্য বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে আমি পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের ভোটার। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে যাই। সেখানে গণআন্দোলনে আটকে পড়ি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবক বাংলাদেশের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, অথচ কাকদ্বীপের ভোটার তিনি। সেখানে ভোটও দিয়েছেন। নিউটন দাসের বাংলাদেশে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নিউটন কীভাবে দুই দেশের ভোটার হলেন? তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন।
নিউটনের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর ভাই কাকদ্বীপে থাকেন না। তবে নিউটন ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে , ভোটার তালিকা অনুযায়ী নিউটন কাকদ্বীপের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা। পশ্চিমবঙ্গে সর্বপ্রথম পা দিয়েছিলেন তাঁর ভাই তপন দাস। ২০১১ সালে গিয়ে ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, পরবর্তীকালে তাঁর ভাইয়ের পিছু পিছু যান নিউটন। কাকদ্বীপেরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন ওই যুবক। কিন্তু পরে আবার বাংলাদেশ আসেন।
বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে নিউটনের ছবি ভাইরাল হতেই সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপি। তারা ওই যুবকের নাম কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় খুঁজে বের করে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি দেখা গেছে।
বহুদিন ভাইয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন নিউটনের ভাই। এখন নিউটন কোথায় আছেন তা জানায়নি প্রতিবেদন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফুয়াদ