
সিলেটে টানা তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড গরমে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকেরা কাজ করতে পারছেন না। কিন্তু কাজ না করলে খাবার জোটে না—এই বাস্তবতায় পেটের তাড়নায় রোদ-গরম উপেক্ষা করে অনেকেই কাজে বের হচ্ছেন। ফলে প্রচণ্ড দাবদাহে হাট-বাজারে মানুষের উপস্থিতিও কমে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান এক পূর্বাভাসে জানান, মৌসুমি বায়ু বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণও হতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
রোববার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার (১৬ জুন) সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
সজিব