
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে অ্যাডভোকেট মোক্তার আহমেদের নাম। তিনি এই আসনে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন। তার প্রচারণার ধরনও অন্যদের থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি জেলার ১০টি উপজেলার জনসাধারণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দর্শনীয় স্থানগুলোতে ব্যানার টাঙিয়ে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান, যা ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে এবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি জামায়াত পরিচালিত ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট কথিত ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের পতনের দাবি তুলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা পার্বত্য জেলায় একাধিক বৈঠক করেছেন। এরপর থেকেই জেলার নেতাকর্মীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে উঠেছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন তারা। এর ফলে প্রতিটি উপজেলায় জামায়াতের পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা জোরদার হয়েছে।
অন্যদিকে রাঙামাটিতে বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকায় এখনও দলীয়ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে বিএনপির কেউ এখনো মাঠে নামেননি। জাতীয় পার্টির তেমন উল্লেখযোগ্য তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো—জেএসএস ও ইউপিডিএফ—এখনো নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হয়নি।
সবার আগে প্রচারণা শুরু করায় অ্যাডভোকেট মোক্তার আহমেদ এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা কিছুটা বাড়তি উদ্দীপনা পেয়েছেন। তার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা তাকে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খানিকটা এগিয়ে রেখেছে।
আসিফ