
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকায় ঈদুল আজহার পর নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠ সরগরম। বিএনপির অন্তর্বর্তী দ্বন্দ্বে নেতাকর্মীরা দ্বিধা বিভক্ত প্রচারণায়। জামায়েত ও খেলাফতে মজলিসের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে। জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে মাঠ শূন্য।
এ আসনটিতে এখন সর্বত্রই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দুইটি সীমান্তবর্তী উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসন থেকে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঈদুল আজহার পর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে তিন দলীয় সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীর পক্ষে গণসংযোগ করছেন।
উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বদানকারী বৃহৎ একটি অংশ জেলা বিএনপির সদস্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থী আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া ঈদ পরবর্তী কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় জনগণের সাথে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মুনসুর মিশনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমানের পক্ষে দলীয় প্রচারণা ও এলাকায় গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তাছাড়া আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মুসলিম উদ্দিন ভূঁইয়া ঈদ পরবর্তী গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এজন্য দলীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে পৃথক ব্যানারে অবস্থান করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় মনোনীত একক প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান সরকার ও বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের দলীয় মনোনীত একক প্রার্থী মাওলানা মাইনুদ্দিন ঈদ পরবর্তী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সভা-সমাবেশ করছেন।
সানজানা