
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের চাকরি বাজারে বড় ধরনের ধস দেখা যাচ্ছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দেশটিতে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা ৬৩,০০০ কমে গেছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া তো দূরের কথা, বিদায়ী কর্মীদের জায়গাও পূরণ করছে না।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONS)-এর অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান পরিচালক লিজ ম্যাককিওন জানান, ‘‘চাকরি বাজারে দুর্বলতার প্রবণতা চলছেই।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পে-রোলে থাকা মানুষের সংখ্যাও কমেছে।’’
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্যে কোম্পানিগুলোর ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স কন্ট্রিবিউশন (NIC) বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে ন্যূনতম মজুরি। ফলে কর্মী নিয়োগের খরচ বাড়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে।
KPMG UK-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়েল সেলফিন বলেন, ‘‘এই ব্যয় সামলাতে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী সংখ্যা কমাতে বা নিয়োগ ধীর করতে বাধ্য হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছর বেকারত্বের হার আরও বাড়বে।’’
বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৬ শতাংশ, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সেইসঙ্গে গড় মজুরি বৃদ্ধির হারও কিছুটা কমেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মজুরি বেড়েছে ৫.২ শতাংশ হারে, যা আগের ৫.৬ শতাংশ থেকে কম। তবে মজুরি বৃদ্ধির হার এখনো মূল্যস্ফীতির (৩.৫%) চেয়ে বেশি।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস গত বছরের অক্টোবরে এনআইসি বৃদ্ধি ঘোষণা করেছিলেন। এতে করে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকার প্রায় ২৫ বিলিয়ন পাউন্ড রাজস্ব পাবে বলে ধারণা।
এদিকে, শ্রমমন্ত্রী অ্যালিসন ম্যাকগোভার্ন দাবি করেছেন, গত নির্বাচনে লেবার পার্টি জেতার পর থেকে ৫ লাখ বেশি মানুষ চাকরিতে নিয়োজিত হয়েছেন।
তবে কনজারভেটিভ পার্টির ছায়া ব্যবসা মন্ত্রী অ্যান্ড্রু গ্রিফিথ বলেছেন, ‘‘বেকারত্বের হার বাড়া আশ্চর্যজনক নয়, বরং এই ২৫ বিলিয়ন পাউন্ডের ‘জব ট্যাক্স’ ব্যবসাগুলোকে দমিয়ে রাখছে।’’
লিবারেল ডেমোক্রেট দলের ট্রেজারি মুখপাত্র ডেইজি কুপার বলেন, ‘‘এই তথাকথিত চাকরি কর নতুন উদ্যোক্তা ও ছোট ব্যবসার ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে।’’
চাকরি বাজারে দুর্বলতা দেখা দিলেও ক্যাপিটাল ইকোনমিক্স জানিয়েছে, পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি বাজার। তবে শ্রমবাজারে চাহিদা স্পষ্টতই কমছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
মুমু ২