
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
বাংলাদেশের একজন তরুণ ও গতিশীল নেত্রী লামিয়া তাসনীম। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল নাম। তিনি "লেটস টক মেন্টাল হেলথ" নামক একটি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। তার অদম্য প্রচেষ্টায় মানসিক সুস্থতা আজ সমাজের মূলধারায় জায়গা করে নিয়েছে।
লামিয়ার এই নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড প্রোমোটকৃত এবং নেপাল সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট (Global Youth Parliament) আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ (Global Youth Leadership Summit and Award 2025) এ তিনি পুরস্কৃত হতে যাচ্ছেন । এটি তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতির এক বড় প্রমাণ।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লামিয়ার এই বলিষ্ঠ অবদান তাকে কমনওয়েলথ ইয়ুথ কাউন্সিল (Commonwealth Youth Council) এর একজন কার্যনির্বাহী সদস্য, সার্ক (SAARC) ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েট, UNCCD ইয়ুথ ককাস এক্সিকিউটিভ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বব্যাপী যুব উন্নয়ন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় তার অঙ্গীকারের মাধ্যমেই এটি সম্ভব হয়েছে।
নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে জনস্বাস্থ্যে (Master’s of Public Health) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি, লামিয়া তাসনীম নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, যাতে তারা মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেয় এবং একটি সুস্থ ও টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলে।
বর্তমানে লামিয়ার নেতৃত্বে "ব্রেইনওয়েভস" (BrainWaves) নামক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছে। লামিয়া তার এই সাহসী প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কার ও নেতিবাচক ধারণাকে দূর করতে বদ্ধপরিকর। তার এই দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং কর্মতৎপরতা নিঃসন্দেহে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
লামিয়া তার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চান। তিনি বলেন, "আমি চাই পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে মানসিক সুস্বাস্থ্য চর্চা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হোক, কোনো বিলাসিতা হিসেবে নয়। মানসিক স্বাস্থ্য যেন সকলের কাছে সহজলভ্য হয় এবং এ বিষয়ে পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণ সমাজে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয় হয়ে ওঠে।"
মিরাজ খান