ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নাসার সতর্কবার্তা: যে গ্রহাণু একসময় ছিল পৃথিবীর জন্য হুমকি, এবার চাঁদের পথে

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১১ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৬:৩৫, ১১ জুন ২০২৫

নাসার সতর্কবার্তা: যে গ্রহাণু একসময় ছিল পৃথিবীর জন্য হুমকি, এবার চাঁদের পথে

ছবি: প্রতীকী

গত বছর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার ঝড় তোলা অ্যাস্টরয়েড ২০২৪ ওয়াইআর৪ এবার নতুন করে খবরের শিরোনামে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ২০৩২ সালে এই গ্রহাণুটি চাঁদের গায়ে আছড়ে পড়তে পারে।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাস্টরয়েডটি প্রায় ৫৩ থেকে ৬৭ মিটার চওড়া—একটি ১০ তলা ভবনের সমান। এটি ২০২৩ সালের শেষ দিকে আবিষ্কৃত হয় এবং ‘অ্যাপোলো টাইপ’ গ্রহাণু হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

বর্তমানে এটি পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকায় সাধারণ টেলিস্কোপে দেখা যাচ্ছে না। তবে সূর্যকে কেন্দ্র করে কক্ষপথে প্রবেশের আগে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST) এটিকে শেষবারের মতো পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছে।

নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (JPL) সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (CNEOS) এর গবেষকরা পরবর্তী কিছু তথ্যের ভিত্তিতে গ্রহাণুটির কক্ষপথের হিসাব আরও নিখুঁতভাবে নির্ণয় করেছেন।

নাসার মতে, এই গ্রহাণুটির চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা সামান্য বেড়ে ৩.৮ শতাংশ থেকে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশে। তবে এমনকি যদি এটি চাঁদে আঘাত করে, তবুও চাঁদের কক্ষপথে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত ডেটার ভিত্তিতে জানা গেছে, ২২ ডিসেম্বর ২০৩২ সালে গ্রহাণুটির সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞানের পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ উন্নত হয়েছে।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের প্রাক্তন গবেষক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী পবন কুমার Space.com-কে বলেন, “চাঁদ পুরোপুরি নিরাপদ। এমন সংঘর্ষ কোনো উদ্বেগের কারণ হবে না।” তাঁর মতে, “চাঁদে আঘাতের ফলে মহাশূন্যে ছিটকে পড়া ধ্বংসাবশেষ যদি পৃথিবীমুখী হয়ও, তাহলে তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে পুড়ে যাবে।”

পৃথিবীর জন্যও আশঙ্কার কারণ ছিল ২০২৪ ওয়াইআর৪

২০২৪ ওয়াইআর৪ প্রথম আলোচনায় আসে যখন বিজ্ঞানীরা জানায়, এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পরে অবশ্য নাসা নিশ্চিত করে, এই গ্রহাণু ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য হুমকি নয়।

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের গ্রহাণুদের গতিপথ ও সংঘর্ষের সম্ভাবনা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর কক্ষপথ সম্পর্কেও তারা আরও বিস্তারিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ঝুঁকি থাকলে তা আগে থেকেই জানা যায়।

 

সূত্র: এনডিটিভি।

রাকিব

আরো পড়ুন  

×