ছবি: জনকন্ঠ
রংপুরের মহাসড়কে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ ঢাকামুখি যানবাহনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে হাইওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়দরগায় হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম নিজেই বিশেষ চেকপোষ্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি এ সময় বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষাসহ বিভিন্ন গাড়ির চালকদেরকে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে গতিসীমা মেনে ধৈর্য সহকারে যানবাহন চালনার অনুরোধ জানান।
এছাড়াও মহাসড়কের পয়েন্ট গোবিন্দগঞ্জ বাজারে হাইওয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে যাত্রী সাধারণের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন। একই সাথে কাউন্টার মাস্টারদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে সতর্ক করেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকামুখি যাত্রীদের যানজট নিরসন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন বগুড়া- রংপুর- সৈয়দপুর- বাংলাবান্ধা মহাসড়কে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে মহাসড়কে স্পিড গানসহ আটটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
গত ৪৮ ঘন্টায় এসব চেকপোস্টে মহাসড়কে আইন অমান্যকারী দের বিরুদ্ধে শতাধিক প্রসিকিউশন দেওয়া হয়। তারাগঞ্জ, বড়দরগা এবং ১০ মাইল চেকপোষ্টে যৌথবাহিনীরা কাজ করছে।
তিনি হাইওয়ে পুলিশের কন্ট্রোলরুমে বসে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে যানজট পরিস্থিতি মনোনিটরিং করেন। পরে হাইওয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে আসেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হায়দার।
এ সময় পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর গাইবান্ধার সিও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলাপচারীতা করেন এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। হাইওয়ে পুলিশের রংপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে মহাসড়কে ঢাকামুখি লেনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী সমন্বিতভাবে যানজট নিরসন এবং মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছে।
ঈদের আগে এবং পরে সাত দিনে (৪-১০ জুন) পর্যন্ত মহাসড়কে বেশ কিছু দুর্ঘটনায় ১৭ জন লোকের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন পথচারীও রয়েছে। মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে ট্রাফিক আইন মেনে ধৈর্য এবং সতর্কতার সাথে যানবাহন চালনা এবং পথচারীদের নিয়ম মেনে চলাচল করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
শহীদ
