
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ শুরু হতে ঠিক এক বছর বাকি। এই কাউন্টডাউনের দিনেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করলো ব্রাজিল। টিকে থাকলো ‘সেলেসাও’দের গৌরবময় লেগাসিও—বিশ্বকাপ ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত সব আসরে অংশগ্রহণ করা ব্রাজিল আবারও বিশ্বমঞ্চে।
কাতার বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর থেকেই কাঙ্ক্ষিত কোচের খোঁজে ছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। শেষ পর্যন্ত সেলেসাওদের ডাগআউটে জায়গা করে নেন স্বপ্নের কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি। ইতালিয়ান এই কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন বদলে যেতে শুরু করেছে ব্রাজিল।
দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে দলকে বিশ্বকাপে তুলেছেন অ্যানচেলত্তি। তার অধীনে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে ফিরছে পুরনো ছন্দ, উজ্জ্বল হচ্ছে নতুন আশার আলো।
অ্যানচেলত্তি বলেন, “এটা ছিল অসাধারণ ১৫ দিন”
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে অ্যানচেলত্তি বলেন,
“সবদিক থেকে এই ১৫ দিন ছিল অসাধারণ। ব্রাজিলের মানুষ যে অভ্যর্থনা দিয়েছে তা আমি কখনো ভুলবো না। সিবিএফ-এর পরিবেশ পরিবারসুলভ। খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক এবং মনোভাবও দারুণ।”
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের পর খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ। কুনিয়া, মার্তিনেলি, রাফিনিয়া থেকে শুরু করে রক্ষণভাগে কাসেমিরো, মারকুইনিয়োস, অ্যালিসন—সবাই পেয়েছেন আলাদা করে প্রশংসা।
নেইমার-রদ্রিগোকে নিয়েও পরিকল্পনা স্পষ্ট
আপাতত ইনজুরিতে থাকা নেইমার ও রদ্রিগোকে ঘিরেও বড় পরিকল্পনা রয়েছে অ্যানচেলত্তি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“আজ হোটেলে নেইমারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সে সুস্থ হলে মাঠে যেকোনো পজিশনে খেলতে পারবে। বিশেষ করে ১০ নম্বর পজিশনে তার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হবে।”
বিশ্রামে অ্যানচেলত্তি, নজরে ৭০ ফুটবলার
ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ সেপ্টেম্বরে। তাই আপাতত ছুটিতে যাচ্ছেন অঞ্চলত্তি। তবে বিশ্রামেই থেমে থাকছেন না। নজর রাখছেন ব্রাজিল, ইউরোপ ও সৌদি আরবের প্রায় ৭০ জন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের দিকে, যারা আগামী বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় রয়েছেন।
আঁখি