ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভোলার লঞ্চঘাটে ঈদ-পরবর্তী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযাত্রা

হাসিব রহমান, ভোলা

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১২ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:৩০, ১২ জুন ২০২৫

ভোলার লঞ্চঘাটে ঈদ-পরবর্তী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযাত্রা

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

ঈদ শেষে দ্বীপজেলা ভোলা থেকে কর্মস্থলে পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটের লঞ্চ ও সী ট্রাকগুলোতে দুই থেকে তিন গুণ অতিরিক্ত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। নৌযানের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী হওয়াতে অনেকেই লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছেন।

এ রুটে ২টি লঞ্চ ও ৪টি সি-ট্রাক চলাচল করলেও বর্তমানে যাত্রীর তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম । এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজের তাগিদে পরিবার পরিজন নিয়ে উত্তাল মেঘনা পারি দিচ্ছে নিরুপায় সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এ ভিড় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টরা। 

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ইলিশা লঞ্চঘাটে যে পরিমাণ যাত্রী রয়েছে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার জন্য সেই পরিমাণ লঞ্চ সি-ট্রাক নেই। যা রয়েছে তা আবার সাইজে ছোট। ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে তারা পারাপার করেছে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।তাই যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে বড় লঞ্চ প্রয়োজন। লঞ্চ না পেয়ে অসংখ্য যাত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে তীব্র গরমে ঘাটে পরবর্তী লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করে। এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য সর্তক করা হলেও অধিকাংশ যাত্রী তা ব্যবহার করেনি।

বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ভোলার ইলিশা-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন ১১ টি লঞ্চ চলাচল করে‌। এছাড়া ইলিশা লক্ষ্মীপুর রুটে ২টি ও ৪টি সি-ট্রাক চলাচল করছে। 

অবৈধভাবে মেঘনা নদীতে যাত্রী পারাপার করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ পর্যন্ত ৪ টা স্পিড ও ১ ট্রলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারে যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

মিরাজ খান

×