ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

স্কিনে এই চারটি পরিবর্তন মানেই সময়মতো চিকিৎসা দরকার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ২৮ জুলাই ২০২৫

স্কিনে এই চারটি পরিবর্তন মানেই সময়মতো চিকিৎসা দরকার

ছবি: সংগৃহীত

একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ৪% ঘটে যকৃতজনিত রোগে। এর মধ্যে পুরুষদের মৃত্যুহার বেশি। আমেরিকার খ্যাতনামা গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি সম্প্রতি জানিয়েছেন, যকৃতের সমস্যার চারটি ত্বকের লক্ষণকে আমরা প্রায়শই উপেক্ষা করি, যা সময়মতো শনাক্ত করা গেলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

যকৃতের সমস্যার ৪টি ত্বকজনিত লক্ষণ
১. চোখ ও ত্বকে হলদে ভাব (জন্ডিস)

ডা. শেঠির মতে, যকৃতের সমস্যার সবচেয়ে সুস্পষ্ট লক্ষণ হল ত্বক ও চোখের হলদে রং। এটি হয় বিলিরুবিন নামক রঞ্জকের অতিরিক্ত মাত্রায় জমে থাকার কারণে। বিলিরুবিন শরীরে লাল রক্তকণিকা ভেঙে তৈরি হয় এবং যকৃতই তা প্রক্রিয়াজাত করে। কিন্তু যকৃত ঠিকমতো কাজ না করলে এই রঞ্জক রক্তে জমে গিয়ে ত্বকে হলুদ ভাব এনে দেয়। এ লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

২. স্পাইডার অ্যাঞ্জিওমা
এটি ত্বকে জাল বা মাকড়সার জালের মতো দেখতে ছোট ছোট রক্তনালির প্রসার। সাধারণত মুখ, গলা ও বুকের কাছে দেখা যায়। এটি হয় শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে, যা আবার যকৃতের দুর্বলতার লক্ষণ হতে পারে। সুস্থ যকৃত এই হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।

৩. পামার এরিথিমা (হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া)
হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া এবং ফোলা একটি খুব সাধারণ কিন্তু প্রায়শই উপেক্ষিত উপসর্গ। এটি হয় রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়া ও হরমোন ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে। যকৃতজনিত সমস্যায় এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৪. তীব্র চুলকানি
চর্মে চুলকানি হওয়া সাধারণ মনে হলেও এটি যকৃতের সমস্যার গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে, বিশেষ করে রাতে যদি চুলকানি বেড়ে যায়। এটি সাধারণ অ্যালার্জি বা শুকনো ত্বকের মতো নয়। এটি হয় পিত্তলবণ (bile salts) ত্বকে জমে যাওয়ার ফলে।

কেন আগাম লক্ষণ জানা জরুরি?
সারোসিস ও হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা, এই দুটি কারণেই যকৃতজনিত অধিকাংশ মৃত্যু ঘটে। এই দুটি আবার মূলত ভাইরাল হেপাটাইটিস, অ্যালকোহল আসক্তি ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ফল। ত্বকে এসব লক্ষণ আগে থেকেই দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

মুমু ২

×