ওজন কমাতে গিয়ে আপনি কি ভাত-রুটি একেবারে ছেড়ে দিয়েছেন? তাহলে এবার একটু থামুন! কারণ, কার্বোহাইড্রেট ছাড়া শরীর দীর্ঘদিন সচল রাখা সম্ভব নয়, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে নানা রকম ডায়েট ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ‘লো কার্ব’ ডায়েট মেনে চলছেন। ভাত-রুটি একেবারে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ফল, সবজি কিংবা প্রোটিন নির্ভর খাদ্য গ্রহণ করছেন। কিন্তু শরীরচর্চা বা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এভাবে কার্বোহাইড্রেট ছাঁটাই করলে দীর্ঘমেয়াদে শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করা কার্বোহাইড্রেট ভেঙে গ্লুকোজ় তৈরি করে, যা কোষ গ্রহণ করে শক্তি উৎপাদন করে। এই শক্তিকে বলা হয় অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP)।
যদিও ফ্যাট থেকেও ATP তৈরি হতে পারে, কিন্তু সেই প্রক্রিয়া অনেক বেশি জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই শরীর সহজেই কার্বোহাইড্রেট থেকেই শক্তি সংগ্রহ করতে চায়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট শরীরে জমা হয় গ্লাইকোজেন হিসেবে, যা ভবিষ্যতের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে রাখে।
অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট হঠাৎ করে বাদ দিলে দেখা দিতে পারে:
🔹 দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা
🔹 মনোযোগে ঘাটতি
🔹 হজমে সমস্যা
🔹 কোষ্ঠকাঠিন্য
🔹 হরমোনের ভারসাম্য হারানো
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে ভাত বা রুটি রাখলে ক্ষতি নেই, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি বজায় থাকে। কেউ যদি ওজন কমাতে চান, তবে কার্বোহাইড্রেটের মান নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া উচিত, সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া নয়।
ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণই হলো স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি।
মিমিয়া
