ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

এক মাসে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ৭টি কার্যকর টিপস

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ১৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৪:০৮, ১৯ জুন ২০২৫

এক মাসে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ৭টি কার্যকর টিপস

ছবিঃ সংগৃহীত

১. ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ৭টি উপায়
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে হাইপারইউরিকেমিয়া বলা হয়, যা গাউট ও কিডনির পাথরের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে সুখবর হলো, ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি প্রাকৃতিকভাবেই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারেন। এক মাসে ইউরিক অ্যাসিড

কমানোর জন্য নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করুন—

২. বেশি পানি পান করুন
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে বেশি পানি পান করুন। দৈনিক ৮ থেকে ১৬ কাপ পানি পান করার চেষ্টা করুন, আপনার শারীরিক কার্যকলাপ ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। সঙ্গে লেবু পানি, হারবাল চা ও ফলের রস এবং সালাদ-ফলমূল খেলে শরীর ক্ষারধর্মী হয় ও ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।

৩. ভিটামিন সি গ্রহণ বাড়ান
ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে শরীর থেকে দূর করতে সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, বেল পেপার, ব্রোকলি ও টমেটোর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল-সবজি রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।

৪. চেরি ও বেরি খান
চেরি ও বেরি জাতীয় ফলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্থোসায়ানিন, যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং গাউটের ব্যথা প্রশমনে সহায়তা করে। ফ্রেশ বা ফ্রোজেন চেরি কিংবা আনসুইটেনড চেরি জুস খাওয়া যেতে পারে।

৫. মানসিক চাপ কমান
চাপমুক্ত থাকা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।

৬. পিউরিনযুক্ত খাবার কম খান
পিউরিন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। তাই গরু-খাসির মাংস, ঝিনুক, নির্দিষ্ট কিছু মাছ, ডাল ও বিয়ারসহ অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় এবং চিনি-সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। এর বদলে কম পিউরিনযুক্ত খাবার যেমন শস্য, ফল, সবজি ও লো-ফ্যাট ডেইরি পণ্যে মনোযোগ দিন।

৭. ওজন কমান (যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে)
অতিরিক্ত ওজন ইউরিক অ্যাসিড তৈরি বাড়ায় ও এর নিষ্কাশন কমায়। অল্প পরিমাণ ওজন কমালেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে আসে। হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার বা সাইক্লিং করুন। এতে মেটাবলিজম ভালো হয় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও কিছু প্রাকৃতিক উপায়:

- আপেল সাইডার ভিনেগার ও লেবু পানি শরীরকে ক্ষারধর্মী করে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।

- আদা ও হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে উপকারি, চা হিসেবেও খাওয়া যায়।

- হেবাল সাপ্লিমেন্ট যেমন গিলয়, ত্রিফলা ও গুগ্গুলু সহায়ক হতে পারে।

আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

- অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে বিয়ার, কারণ এতে পিউরিন বেশি থাকে।

- চিনি ও ফ্রুক্টোজযুক্ত খাবার কমান।

- ক্যাফেইনযুক্ত কফি পরিমিত পরিমাণে (দিনে সর্বোচ্চ ২ কাপ) গ্রহণ করা যেতে পারে, যা গাউটের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন, খাবার ও জীবনযাপনের প্রতি নজর দিন।

আজ থেকেই শুরু করুন সুস্থ শরীরের পথে যাত্রা।

কেন ইউরিক অ্যাসিড বেশি হওয়া ক্ষতিকর?
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইউরেট স্ফটিক জমে যেতে পারে। এগুলো হাড়-জোড়া ও টিস্যুতে জমে গিয়ে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে। এর প্রধান পরিণতি হলো গাউট, যা এক ধরনের জ্বালাময় আর্থ্রাইটিস। সাধারণত এটি পায়ের বুড়ো আঙুলে শুরু হয় এবং মারাত্মক যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।

মুমু

×