ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়ক চারটি দৈনন্দিন অভ্যাস

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ১৯ জুন ২০২৫

হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়ক চারটি দৈনন্দিন অভ্যাস

হার্ট অ্যাটাক হলে কেবল কোলেস্টেরলই কি একমাত্র দায়ী? আমরা কি কখনও থেমে ভেবে দেখেছি, যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অভ্যাসগুলো একটু পরিশীলিত হতো, তবে হয়তো কোলেস্টেরল কোনো সমস্যা হতো না, আর হার্ট অ্যাটাকও নয়?

প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস — যেমন খারাপ ঘুম, নিষ্ক্রিয়তা (অর্থাৎ চলাফেরা না করা), এবং দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ — চুপিচুপি আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে চলেছে।

চলুন জেনে নেই চারটি দৈনন্দিন অভ্যাস যা হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়ক
১. পর্যাপ্ত ও গুণগতমানসম্পন্ন ঘুম
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমের অভাবে কোর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) বাড়ে, যা রক্তচাপ ও ইনফ্ল্যামেশন (প্রদাহ) বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
পরামর্শ: প্রতিদিন ৭–৯ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম নিন, নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং শোবার আগে স্ক্রিন বা ব্লু-লাইট থেকে দূরে থাকুন।

২. নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ
ব্যায়াম বা হাঁটা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদপেশিকে শক্তিশালী করে।
পরামর্শ: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতা (যেমন ৩০ মিনিট brisk হাঁটা/সাঁতার/সাইক্লিং প্রায় ৫ দিন) অথবা ২ দিন ওজন-প্রশিক্ষণ করুন ।

৩. মানসিক চাপের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ
দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস কোর্টিসল ও অ্যাড্রিনালিন বাড়ায়, যা রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পরামর্শ: প্রতিদিন মেডিটেশন, প্রানায়াম, ইয়োগা বা ছায়া-চিন্তা হ্রাসকারী হবি অৱলম্বন করুন।

৪. পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও পানি খাওয়া

  • ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাদ্য প্লাজমার প্রদাহ এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
  • রেড মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণ ও চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত জল পান করুন—শারীরিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে, রক্ত ঘণত্ব থেকে মুক্ত রাখে। 

 

সানজানা

×