ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ইসরায়েলি পাইলটদের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু, বিমানবন্দর ও ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে’, এমন একটি শিরোনামে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই একে সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রতিফলন বলে ধরে নিচ্ছেন। তবে অনুসন্ধানকারী সংস্থা রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেকে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র।
আসলে এই ভিডিওটির বর্তমান সংঘাতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বরের একটি পুরোনো ভিডিও, যার সঙ্গে পাইলট বিদ্রোহ বা সামরিক ঘাঁটি ত্যাগ করার কোনো প্রমাণ নেই। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক আয়ালন সাউথ-এ সীমান্ত পুলিশের একটি দল আগুন নেভাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পেছনে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান করছে।
ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ পায় সাংবাদিক Bar Peleg-এর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে। তিনি সেখানে ভিডিওর ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, বিক্ষোভ চলাকালে একজন মুখ ঢেকে রাখা কর্মকর্তার সঙ্গে বিক্ষোভকারীর বাকবিতণ্ডা হয় এবং আগুন লাগলে পুলিশ সেটি নিভানোর চেষ্টা করে।
পরে ভিডিওটি Liveuamap নামের ওয়েবসাইটেও ছবিসহ প্রকাশিত হয়, যেখানে স্পষ্ট করে জানানো হয় এটি একটি বিক্ষোভের সময়কার দৃশ্যমাত্র।
সুতরাং, যে ভিডিওটিকে ইসরায়েলি পাইলটদের বিদ্রোহ ও ঘাঁটি ছেড়ে পালানোর প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তা একটি মিথ্যা দাবি। এটি একটি পুরোনো বিক্ষোভের ভিডিও, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বর্তমান পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া যেকোনো তথ্য যাচাই না করে বিশ্বাস করা উচিত নয়। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা ও গুজব থেকে বিরত থাকাই একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব।
ছামিয়া
