
সংগৃহীত
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিয়ারশেভার সোরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে চালানো এই হামলায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ বেশ কয়েকটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন রোগী, চিকিৎসক ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা।
হামলার সময় হাসপাতালে প্রায় শতাধিক রোগী ভর্তি ছিল। আচমকা বিস্ফোরণের পর মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা। উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। চারদিকে ছাদ ধসে পড়া, দেয়াল ভাঙা ও রক্তাক্ত অবস্থার চিত্র উঠে এসেছে বিবিসির সরাসরি প্রতিবেদনে। আশপাশের এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ একে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে আখ্যা দিয়ে জানান, এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের সহনশীলতার পরীক্ষা নিচ্ছে।”
গত কয়েক দিনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইরান ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। পালটা জবাবে ইসরায়েলও ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়পক্ষকে সংযত থাকার এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো মানবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলেও সতর্ক করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
ইসরায়েলে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য পরবর্তী হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে।
হ্যাপী