
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলের হাইফা শহরের বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কতা জারি করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারে হাইফা দ্রুত খালি করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
হাইফা এখন ইরানের টার্গেট!
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ছায়া যুদ্ধ থেকে সরাসরি সংঘাতে রূপ নিচ্ছে তাদের সম্পর্ক। চলতি বছরের ১২ জুন থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়েছে। পারমাণবিক কর্মসূচি, আঞ্চলিক আধিপত্য এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ইস্যু এই উত্তেজনার মূল কারণ।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি হুঁশিয়ারি
১৮ জুন, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাইফা শহরের একটি মানচিত্র দেখিয়ে হিব্রু ভাষায় বার্তা প্রচার করা হয়—“অনুগ্রহ করে উল্লেখিত এলাকা থেকে অবিলম্বে সরে যান।”
এছাড়াও জানানো হয়, পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালাতে পারে। ইরান সরাসরি ঘোষণা করেছে, হাইফার মতো শহরে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলকে ‘ব্যক্তিগতভাবে’ বার্তা দেওয়া হবে।
পাল্টা হামলার মুখে তেলআবিব
এর আগেই ইরান নতুন করে ছোড়া মিসাইল (ক্ষেপণাস্ত্র) ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিকেন্দ্র তেলআবিবে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ১৮ জুন সন্ধ্যায় এই হামলার খবর উঠে আসে। ইসরায়েলি সূত্রের বরাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, আঘাতের পরপরই তেলআবিব ও আশপাশে সাইরেন বাজতে শুরু করে।
প্রতিশোধমূলক অভিযানেও পিছিয়ে নেই ইসরায়েল
ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে নতুন করে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইহুদিবাদী মিডিয়ার খবরে উঠে আসে, হামলার সময় দখলকৃত অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে যায়।
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব এখন আর কূটনৈতিক উত্তেজনায় সীমাবদ্ধ নেই। সরাসরি সামরিক অভিযান ও পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আভাস মিলছে। হাইফার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এই দ্বন্দ্বকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
ইমরান