
সংগৃহীত
ডায়াবেটিস থাকলে শুধু মিষ্টি খাবার নয়, কিছু ফলও রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ অনেক মিষ্টি ফলে প্রাকৃতিক চিনি এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) বেশি থাকে। তবে ফল পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত নয় বরং কোন ফল কতটুকু খাওয়া নিরাপদ, সেটা জানা খুব দরকার।
নিচে এমন কিছু ফলের নাম ও বিস্তারিত দেওয়া হলো, যেগুলো খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
কলা (Banana)
- পাকা কলায় প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকে। এটি রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
- কতটুকু নিরাপদ: দিনে আধা ছোট কলা মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে
- যেটা এড়িয়ে চলা উচিত: বড় বা খুব পাকা কলা
আঙুর (Grapes)
- আকারে ছোট হলেও এতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি।
- কতটুকু নিরাপদ: দিনে ৫–৬টি আঙুর
- যেটা এড়িয়ে চলা উচিত: আঙ্গুরের জুস
আম (Mango)
- পাকা আম খুব মিষ্টি, রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
- কতটুকু নিরাপদ: ৩–৪ টুকরো বা ১/৪ কাপ মাঝে মাঝে
- যেটা এড়িয়ে চলা উচিত: নিয়মিত বা বেশি খাওয়া
তরমুজ (Watermelon)
- তরমুজে পানি বেশি হলেও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি।
- কতটুকু নিরাপদ: একবারে আধা কাপ ছোট টুকরো
- যেটা এড়িয়ে চলা উচিত: বড় পরিমাণ একসাথে খাওয়া
জাম্বুরা ( Grapefruit)
- যদি বেশি মিষ্টি হয়, তবে রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে।
- কতটুকু নিরাপদ: ১টি ছোট কমলা বা সমপরিমাণ জাম্বুরা
- যেটা এড়িয়ে চলা উচিত: ফলের জুস
মনে রাখার কিছু সহজ টিপস:
- প্রতিবার অল্প করে খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ
- ফলের চেয়ে জুস বেশি ক্ষতিকর, কারণ তাতে আঁশ কম
- ফল খাওয়ার সময় সঙ্গে বাদাম, দই বা আঁশযুক্ত কিছু থাকলে রক্তে চিনি ধীরে বাড়ে
- নতুন কোনো ফল খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা মেপে দেখা ভালো
ডায়াবেটিস থাকলে ফল একেবারে বাদ দেওয়া প্রয়োজন নেই, বরং বুঝে-শুনে এবং পরিমাণ বুঝে খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। যে-সব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা চিনি বেশি, সেগুলো সীমিত পরিমাণে এবং সচেতনভাবে খাওয়া দরকার। আর সবসময় নিজের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো।
হ্যাপী