
ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকে শুরু হওয়া এই যানজট টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস থেকে শুরু করে যমুনা সেতু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে, যার পরিমাণ অন্তত ২৫ কিলোমিটার।
বুধবার (৪ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি যানবাহন যমুনা সেতু পার হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সেই চাপ আরও বেড়েছে। ফলে থেমে থেমে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন, দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। রাতেই একাধিক যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে তা যানজটকে আরও তীব্র করে তোলে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে যমুনা সেতু থেকে টাঙ্গাইল শহরের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
দিনাজপুরগামী মাইক্রোবাসযাত্রী মোস্তাক হোসেন বলেন, “আমরা সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল বাইপাসে প্রবেশ করেছি, এখনো তেমন একটা এগুতে পারিনি। দুই ঘণ্টায় মাত্র ৫/৬ কিলোমিটার এগিয়েছি।”
বগুড়াগামী যাত্রীবাহী বাসের চালক খলিল মিয়া বলেন, “ভোর থেকে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজট লেগে আছে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।”
যমুনা সেতু টোলপ্লাজার একটি সূত্র জানায়, যানজট নিরসনে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় এক ঘণ্টা উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, “হঠাৎ অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে যানজট নিরসনের জন্য। তবে সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়িগুলো সঠিকভাবে সেতু পার হতে না পারায় এই দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে ঈদযাত্রার প্রথম দিকেই যাত্রীরা পড়েছেন তীব্র ভোগান্তিতে। যানজট কমাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিমিয়া