
সংগৃহীত
রোগীদের জন্য কিছু মিষ্টি ফল নিরাপদ হলেও, পরিমাণ ও সময় ঠিক রেখে খাওয়া জরুরি। নিচে কয়েকটি ফলের উপকারিতা এবং প্রতিদিন কতটুকু, কখন খাওয়া ভালো তা দেয়া হলো।
১. আপেল
- আপেলে প্রচুর ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেল হালকা মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীরা কম পরিমাণে খেতে পারেন।
- সাধারণত দিনে ১টি ছোট বা মাঝারি সাইজের আপেল খাওয়া উচিত। ভালো সময় হলো দুপুরের খাবারের ১-২ ঘণ্টা পর বা বিকেলে খাওয়া।
২. কমলা
- কমলায় ভিটামিন সি বেশি থাকে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। এটি মাঝারি মিষ্টি ফলে গন্য হয়।
- দিনে ১ থেকে ২টি মাঝারি কমলা খাওয়া যায়। সকালের নাস্তায় বা বিকেলে কমলা খাওয়া উপকারী।
৩. পেয়ারা
- পেয়ারাতে ফাইবার ও জল বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- দিনে ১টি ছোট পেয়ারা বা ১ কাপ কাটা পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে। ভালো সময় হলো দুপুরের খাবারের পর বা বিকেলে।
৪. স্ট্রবেরি
- স্ট্রবেরি কম কার্বোহাইড্রেট এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী।
- দিনে ১০-১২টি স্ট্রবেরি বা ১ মুঠো খাওয়া যায়। এটি সকালের নাস্তায় বা বিকেলে খাওয়া ভালো।
৫. কাঁঠাল (কম পরিমাণে)
- কাঁঠালে শর্করা থাকলেও ফাইবারও বেশি, তাই ছোট পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
- দিনে ২-৩ টুকরো বা প্রায় ৫০ গ্রাম কাঁঠাল খাওয়া ঠিক। দুপুরের খাবারের পর কাঁঠাল খাওয়া ভালো।
৬. পেঁপে
- পেঁপে হজমে সহায়ক এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- দিনে ১ কাপ কাটা পেঁপে (প্রায় ১০০ গ্রাম) খাওয়া যেতে পারে। দুপুর বা বিকেলে পেঁপে খাওয়া সুবিধাজনক।
মিষ্টি ফল খাওয়ার সময় সর্বদা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। ফলগুলো সারা দিনে ছোট ছোট ভাগে খাওয়াই ভালো। রস নয়, পুরো ফল খাওয়া উচিত কারণ এতে ফাইবার থাকে বেশি।
তাজা ও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ফল বেছে নিতে হবে, ফ্রিজে রাখা বা সংরক্ষিত ফল খাওয়া এড়াতে হবে। আপনার ডায়াবেটিস অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফল খাওয়ার সময়সূচি ঠিক করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
হ্যাপী