
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানি ইসলামের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ও আত্মত্যাগের অনন্য ইবাদত। আত্মত্যাগ ও মানবতার বার্তা নিয়ে প্রতিবছরই এ উৎসব হয় । পবিত্র ঈদুল আযহা একদিন পরই
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর পশুর হাটগুলোর উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছে পশুর খামারি ও ব্যাপারীরা। তবে যানজট এড়াতে এবং হাটে পছন্দের স্থান পেতে অনেকেই একটু আগেই চলে গেছে ঢাকার বিভিন্ন হাটে। মূলত বেশি দামে বিক্রির আশায় খামারি ও ব্যাপারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানির পশু গরু ও ছাগল ঢাকায় বিক্রির জন্য টম টম, ট্রাক ও পিকআপে করে নিয়ে যাচ্ছে বেশী বিক্রির আশায়।
রাজধানীতে গরু নিয়ে যাওয়া বিষয়ে নয়াপড়া গ্রামের ব্যাপারী আব্দুল বাতেন, তফাজ্জল, রফিকুল ইসলাম বলেন, “রাস্তাঘাটে যানজটের কারণে অনেক সময় গরু ঢাকায় পৌঁছতে দেরি হয়। ট্রাকে থাকা গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং নদী পথে যেতেও নৌকা ডুবে অনেক সময় গরু মারা যায়। আবার হাটে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও সকল সমস্যা মাথায় নিয়েই কিছু লাভের আশায় গ্রাম থেকে দেশি জাতের ১৩ টি গরু কিনে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।”
গ্রামের গরুর খামারি আল আমিন বলেন, “দেশে সকল ধরনের জিনিসপত্র দাম বাড়ার সাথে গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। একটা গরু মোটাতাজা করতে অনেক খরচা হচ্ছে। বাজারে ভালো দাম না পেলে খামারিরা লোকসানে পড়বে। আশা করছি এ বছর কোরবানির পশু ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গফরগাঁও উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার খামারি রয়েছেন। এ উপজেলায় কোরবানির জন্য ৩১ হাজার ২১৩টি পশু চাহিদা রয়েছে। অপরদিকে কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে ৫৪ হাজার ৫৭১টি।
মিরাজ খান