
ছবি: প্রতীকী
তিন বছরব্যাপী এক ব্যায়ামভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শরীরচর্চা কোলন ক্যান্সার রোগীদের বেঁচে থাকার হার বাড়ায় এবং ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যায়ামের সুফল অনেক ওষুধের সমান, এমনকি তার চেয়েও ভালো। তাই ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র ও স্বাস্থ্যবীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ধরনের ব্যায়ামের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণকে নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এমন প্রমাণ
গবেষণাটি ছিল র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল, যেখানে একদল রোগীকে নিয়মিত ব্যায়ামের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় এবং অন্যদলকে শুধু সচেতনতামূলক বই দেওয়া হয়। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এই গবেষণায় ৮৮৯ জন ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা রোগী অংশ নেন।
দেখা গেছে, ব্যায়াম করা রোগীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ কম ক্যান্সার ফিরে এসেছে এবং যেকোনো কারণে মৃত্যুহার কমেছে ৩৭ শতাংশ। যদিও ব্যায়ামগ্রুপে পেশিতে টান বা হালকা চোটের কিছু ঘটনা বেশি ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে এটি ছিল একটি নিরাপদ ও ফলদায়ী উদ্যোগ।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় অনুপ্রেরণা
৬২ বছর বয়সী টেরি সোয়েইন-কলিন্স বলেন, ‘আমি নিজের জন্য কিছু করছিলাম, যা আমাকে ভালো অনুভব করাত। কোচের নিয়মিত যোগাযোগ আমাকে উদ্বুদ্ধ করত।’ তিনি প্রতি সপ্তাহে কয়েকবার ৪৫ মিনিট হাঁটতেন।
খরচ কম, সুফল বেশি
গবেষকেরা বলছেন, এমন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রোগীপ্রতি মাত্র কয়েক হাজার ডলার খরচে চালানো সম্ভব—যা তুলনামূলকভাবে খুবই সাশ্রয়ী। এটি রোগীদের সুস্থ রাখে, পুনরায় ক্যান্সার হওয়া রোধ করে এবং আয়ু বাড়ায়।
নতুন দিগন্তের সূচনা
গবেষকদলের একজন সহকারী কেরি কর্নিয়া বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—ব্যায়াম করলে বেঁচে থাকার হার বাড়ে। রোগীদের জন্য এটি নতুন প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
সূত্র: এপি।
রাকিব