
ছবি: সংগৃহীত।
স্ট্রোক এখন আর শুধুমাত্র প্রবীণদের রোগ নয়—অল্পবয়সীদের মধ্যেও দ্রুত বাড়ছে এই জীবনঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকি। হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া বা রক্তক্ষরণের কারণে দেখা দেওয়া স্ট্রোকে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা অনুসরণ করে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, স্ট্রোক প্রতিরোধে নিচের সাতটি অভ্যাস বা নিয়ম বিশেষভাবে কার্যকর:
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা:
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণে এই ঝুঁকি অনেকটা কমে।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
ডায়াবেটিস থাকলে রক্তনালির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
৩. ধূমপান ত্যাগ:
ধূমপান রক্তনালিকে সংকুচিত করে এবং রক্তে ক্লট তৈরির সম্ভাবনা বাড়ায়। ধূমপান বন্ধ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে।
৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
ফল, সবজি, শস্য ও কম চর্বিযুক্ত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ:
অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা করা উচিত।
৬. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম ও সময়মতো বিশ্রাম এতে সহায়ক।
৭. অ্যালকোহল সেবন সীমিত রাখা:
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায়। তাই নিয়মের মধ্যে সীমিত পরিমাণে গ্রহণ বা একেবারেই পরিহার করাই ভালো।
চিকিৎসকরা বলছেন, স্ট্রোক প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো সচেতন জীবনযাপন। সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে এড়ানো যেতে পারে এই প্রাণঘাতী বিপদ।
মিরাজ খান