ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাতিশুঁড় গাছ: আগাছা না ঔষধি?

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ মে ২০২৫

হাতিশুঁড় গাছ: আগাছা না ঔষধি?

ছবি: সংগৃহীত

হাতিশুঁড় গাছটি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ব্যাপকভাবে পরিচিত একটি একবর্ষজীবী আগাছাজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো হেলিওট্রপিয়াম ইন্ডিগাম। হাতিশুঁড় গাছ সাধারণত ছোট ও শাখান্বিত হয়। এর পাতা ছোট ও রুক্ষ, এবং ফুলগুলো ছোট ও সাদা রঙের হয়। ফুলের গুচ্ছটি হাতির সুরের মতো দেখতে হওয়ায় এর নামকরণ ‘হাতিশুঁড়’ হয়েছে।

এ গাছটি সাধারণত আগাছা হিসেবেই জন্মায় এবং খালি জমি, রাস্তার ধারে বা বাগানেও দেখা যায়। এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং অন্যান্য উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

হাতিশুঁড় গাছের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। এর পাতা ও ফুল ঐতিহ্যগত ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিছু এলাকায় এর পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া হয়। তবে এই গাছের কিছু অংশ বিষাক্ত হতে পারে বলে এর ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

হাতিশুঁড় গাছ মূলত এশিয়া মহাদেশের উদ্ভিদ। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে এই গাছটি দেখা যায়। এটি উষ্ণ ও আদ্র জলবায়ুতে ভালোভাবে জন্মে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (IUCN) এর মতে, হাতিশুঁড় গাছের সংরক্ষণ অবস্থা নূন্যতম বিপদগ্রস্ত বা ‘লিস্ট কনসার্ন’। কারণ এটি খুব সাধারণ এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

হাতিশুঁড় গাছের পাতা ও ফুল বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের রোগ, জ্বর এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। গাছের পাতা পোকামাকড় দূরীকরণেও সাহায্য করে। এছাড়াও হাতিশুঁড় গাছের পচা পাতা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

তবে, হাতিশুঁড় গাছ একটি আগাছা হিসেবে অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে পারে। গাছের কিছু অংশ বিষাক্ত হওয়ায় এর অবাধ ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে। অতএব, কোন ধরনের ঔষধি গাছ ব্যবহার করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এই গাছটি ‘কালার এক্সপার্ট’ এবং ‘মাইল্ড হ্যান্ডস টেকনোলজি’ সমৃদ্ধ। শাইনিং চুলের জন্য এটি কার্যকর। সেলকোর দ্বিগুণ শাইনিং চুল প্রতিদিন পেতে সাহায্য করে।

সার্বিকভাবে, হাতিশুঁড় গাছ একটি সাধারণ এবং বহুমুখী উদ্ভিদ। এর বিভিন্ন ব্যবহার থাকলেও এর অবাধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত।

এসএফ 

×