
ছবিঃ সংগৃহীত
“এসো, আমার সঙ্গে একটু ওয়াইন পান করো”—এরপর দূরের একটি টেবিলের দিকে ইশারা করে বলেন—“তোমায় ওটার ওপর দাঁড়িয়ে নাচতে দেখতে চাই।”
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম হিজাব পরিহিত মুসলিম নারী সিনেটর ফাতেমা পেইম্যান এমনই বিস্ফোরক এক অভিযোগ এনেছেন এক পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে।
সিনেটর ফাতেমার অভিযোগ, এক আনুষ্ঠানিক পার্লামেন্টারি আয়োজনে ওই পুরুষ সহকর্মী তাকে জোর করে মদ্যপানের আহ্বান জানান এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে টেবিলের ওপর নাচতে বলেন। উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক সংসদ সদস্য। সকলের সামনে এমন মন্তব্যে হতবাক হয়ে যান ফাতেমা।
পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "কারও মদ্যপানের অভ্যাস থাকতেই পারে। কিন্তু কেউ না খেলেই তাকে আলাদাভাবে দেখা বা অপমান করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
নিজেকে ‘সহ্য করে নেওয়া’র মানুষ নন জানিয়ে ফাতেমা সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন পার্লামেন্টারি ওয়ার্কপ্লেস সাপোর্ট সার্ভিস-এর সঙ্গে। দ্রুতই তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আফগানিস্তানের কাবুলে জন্ম নেওয়া ফাতেমা যুদ্ধ ও অনিশ্চয়তা পেরিয়ে তার পরিবারসহ আশ্রয় নেন অস্ট্রেলিয়ায়। জীবনের শুরুতে তার মা একটি ফার্মেসিতে কাজ করে সংসার চালাতেন।
পেইম্যান নিজেও ছিলেন একজন সক্রিয় ইউনিয়ন সংগঠক। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই মাত্র ২৮ বছর বয়সে, ২০২২ সালে লেবার পার্টির টিকিটে সিনেটর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি।
তার মতে, “আজকের প্রজন্মের রাজনীতিকরা আর আগের মতো নীরব থাকেন না। না বলাটা কোনো বিদ্রুপ নয় বরং নিজেকে সম্মান করার প্রথম ধাপ।”
ইমরান