
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের এক বছরেও চালু হয়নি টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন। এতে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে এ রুটের যাত্রীরা। সেবার মান বৃদ্ধি করে ভোগান্তি লাঘবে ঈদের আগেই ট্রেনটি চালুর দাবি তাদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, কমিউটার ট্রেন চালুর ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সড়কপথের ভোগান্তি লাঘব ও যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় ৭-৮ বছর আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে ট্রেনের দাবিতে আন্দোলনে নামে জেলাবাসী। তখন ছয় মাসেরও অধিক সময় জোরালোআন্দোলনের পর কমিউটার ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে সেবার মান ভালো থাকলেও পরবর্তীতে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর রাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে টাঙ্গাইল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউটার ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দুটি কোচ ভস্মীভূত হয়। পরবর্তীতে ট্রেন চালু হলেও ২০২৪ সালের ৩ মে জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপর এখনো চালু হয়নি ট্রেনটি।
যাত্রীরা বলছেন, বাসের চেয়ে ট্রেন যাত্রা নিরাপদ ও আরামদায়ক। অন্যান্য ট্রেনে টাঙ্গাইলের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দ নেই। তাই ঈদের আগেই ভোগান্তি লাঘবে কমিউটার ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের মধ্যে একজন বলছেন, ‘অন্যান্য ট্রেনে তো আমাদের নির্দিষ্ট কোনো আসন সংখ্যা থাকে না, আর এত যাত্রী থাকে যে আমাদের যাত্রা করাটা খুব কঠিন হয়ে যায়।’ আরেকজন বলেন, ‘ঈদের আগে এই কমিউটার ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের অনেকটা ভোগান্তি কমে যাবে।’
স্টেশন মাস্টার বলছেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন পুনরায় চালুর বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোচ ও ইঞ্জিনের স্বল্পতার কারণে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি চালু করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত ট্রেন চালু করার আশ্বাস এই কর্মকর্তার।
টাঙ্গাইল স্টেশন মাস্টার ‘গাজীপুরের ঐ দুর্ঘটনার পর থেকে এই ট্রেনের ব্যাপারে আমরা আর কোনো তথ্য পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও কিছু জানানো হয়নি এটা চালুর ব্যাপারে।’
প্রতিদিন টাঙ্গাইল থেকে উত্তরবঙ্গ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সাত শতাধিক যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করলেও আসন বরাদ্দ আছে মাত্র ৪০২টি।
নোভা