ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ওষুধ নয়, এই ৫টি দৈনন্দিন অভ্যাসেই কমবে ওজন

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৭ মে ২০২৫

ওষুধ নয়, এই ৫টি দৈনন্দিন অভ্যাসেই কমবে ওজন

ছ‌বি: সংগৃহীত

বর্তমানে স্থূলতা ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় জিএলপি-১ গ্রুপের ওষুধগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও এই ওষুধগুলো দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন—এসব ওষুধের কিছু বাস্তব ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা রোগীদের জানা জরুরি।

ওজন না কমার প্রকৃত কারণ কী?
ভারতের গড়দিওয়ালার শর্মা হাসপাতালে কর্মরত অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জাইসন পল শর্মা জানিয়েছেন, “এই ওষুধগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল, অনেক সময় ইনসুরেন্সের আওতায় আসে না এবং দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকাও কঠিন। পুষ্টিহীন দ্রুত ওজন কমানোর ফলে শরীরে পেশী কমে যেতে পারে এবং ওষুধ বন্ধ করার পর অনেকেই পুনরায় ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। সর্বোপরি, এসব ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা এখনো গবেষণাধীন।”

চিকিৎসকের পরামর্শে ওজন কমানোর কার্যকর উপায়
ডা. শর্মার মতে, দীর্ঘস্থায়ীভাবে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণের মাধ্যমে। তিনি ওজন কমাতে নিচের ৫টি অভ্যাস অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন—

১. প্রাকৃতিক ও আঁশসমৃদ্ধ খাবার খান: অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট ও চিনি মিশ্রিত পানীয় বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণে জোর দিন।

২. রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং করুন: শুধু হাঁটাহাঁটি নয়, বরং এমন ব্যায়াম করুন যা পেশি গঠন ও সংরক্ষণে সহায়তা করে। হাঁটাকে কার্যকর ব্যায়াম ধরা হয় কেবল তখনই, যখন আপনি প্রতি মিনিটে ১২০টি পদক্ষেপ নিতে পারেন।

৩. ঘুমকে গুরুত্ব দিন: ঘুম হলো শরীরের বিপাক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে গ্রেলিন ও করটিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিদিন ৭–৯ ঘণ্টা গুণগত ঘুম নিশ্চিত করুন।

৪. অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত খাওয়ার পেছনে মানসিক কারণ থাকলে তা চিহ্নিত করে জার্নাল লেখা, সচেতনতা অনুশীলন বা থেরাপির মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করুন।

৫. পরিপূর্ণতার চেয়ে ধারাবাহিকতাই মুখ্য: ছোট ছোট ইতিবাচক পরিবর্তন প্রতিদিন অনুশীলন করাই দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে বেশি উপকার এনে দেয়।

পরিশেষে, চিকিৎসকের মতে, যারা জিএলপি-১ গ্রুপের ওষুধ নিচ্ছেন, তাদের উচিত একটি পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রার সঙ্গে তা যুক্ত করা। এই ওষুধ মূলত স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা মারাত্মক বিপাকজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপযুক্ত। তবে ওষুধ বন্ধ করার পরও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য কার্যকর।
 

সূত্র: https://www.hindustantimes.com/lifestyle/health/ditch-weight-loss-drugs-doctor-says-these-5-daily-habits-melt-fat-better-than-any-diet-and-you-are-probably-ignoring-it-101746960678337.html

এএইচএ

×