
ছবি : সংগৃহীত
শিশুর জন্মের পর সুস্থ, সবল ও বুদ্ধিমানভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মায়ের দুধ। চিকিৎসক ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার এ কথা বলে আসছেন, “মায়ের দুধই শিশুর জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার।” এতে আছে এমন সব পুষ্টি উপাদান ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, যা কৃত্রিম খাবারে সম্ভব নয়।
রোগ প্রতিরোধে অসাধারণ ভূমিকা
শিশুর ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, অপুষ্টিসহ বহু রোগ থেকে রক্ষা করে মায়ের দুধ। এতে থাকা অ্যান্টিবডি শিশুর শরীরে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এর ফলে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
মানসিক বিকাশ ও বন্ধন গঠনে সহায়ক
শুধু শারীরিক নয়, শিশুর মানসিক বিকাশেও মায়ের দুধ অনন্য। শিশুকে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে মা ও সন্তানের মধ্যে গড়ে ওঠে এক অটুট বন্ধন। এটি শিশুর আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্থিতি গঠনে সহায়ক।
মায়ের জন্যও উপকারী
শুধু শিশুই নয়, নিয়মিত দুধ খাওয়ালে মায়েরও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। স্তন ক্যানসার, ওভারিয়ান ক্যানসার ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। এটি পরিবারে সময় ও খরচেরও সাশ্রয় করে।
বিশেষজ্ঞের মতামত
ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথের সহকারী অধ্যাপক ডা. তানিয়া ইসলাম বলেন,“মায়ের দুধ হচ্ছে আল্লাহর আশীর্বাদ। এতে এমন পুষ্টিকর ও রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান আছে, যা একমাত্র নবজাতকের উপযোগী। এজন্য আমরা বারবার বলি, জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে। এক ফোঁটা পানি, চিনির পানি বা মধু কিছুই দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “মায়ের দুধ খাওয়ানো শিশুর ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যালার্জির মতো সমস্যা অনেক কম হয়। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বুকের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে তাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যানসারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি অনেক কম।”
সা/ই