
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় একের পর এক পাহাড় কেটে সাবাড় করছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিদিন রাতে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের লালারখীলে গ্রামে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড়ে মাটি পিক-আপে করে অন্যস্থানে নিয়ে জমি ভরাট করছে। মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালেও বন্ধ করা যাচ্ছে না এ পাহাড় কাটা। স্থানীয় পরিবেশ সচেতনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ঘুমে রয়েছে। ফলে নির্বিচারে পটিয়ায় কাটা হচ্ছে পাহাড়। হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
জানা গেছে, চলতি এ মওসুমে পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে পাহাড় কেটে সমতল করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ উপজেলার উত্তর খরনা ফকির পাড়ার জেবর মুল্লুক সওদাগরের ঢিলা পাহাড় রাধের আধারে কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটার দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ হারুন নামের এক যুবক। প্রতি রাতে স্ক্যাভেটর দিয়ে পাহাড়ের মাটি লুট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় জানিয়েছেন, উত্তর খরনা ফকির পাড়া জেবর মুল্লুক সওদাগরের পাহাড়টি গত এক সপ্তাহ ধরে কাটা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বিষয়টি যেনো অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান জানান, পাহাড় ঢিলা কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ঢিলা পাহাড় কাটার বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন। পাহাড় কাটার বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরকেও থাকতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের রিসার্চ অফিসার মোঃ আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যস্ততার কারণে সময় পাচ্ছেন না।
এসইউ