
ছবিঃ সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ না-কি ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে বিএনপিসহ অন্য কোন দলের অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু আল্লাহর মাইরে কোন আওয়াজ হয়না। তাদের দলীয় প্রধান রান্না করা খাবার খেতে পারেনি। ছাত্র জনতার ভয়ে না খেয়ে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। জনগণ তাদের চড়ম ঘৃনা করে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে আরও বলেন, মহান আল্লাহ যাকে সম্মান দেন তাঁকে কেউ অসম্মানিত করতে পারেনা। আজ দেশের জনপ্রিয় আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্মানের আসনে রয়েছেন। আগামিতেও জনগনের ভালবাসা নিয়ে দেশের জন্য রাজনীতি করে যাবেন।
শনিবার (১৭ মে) সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ৪ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে নীলফামারী যাওয়ার পথে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুরে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ সড়কের সিএসডি মোড়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন আরও বলেন, পৃথিবীর বুকে নারী মাফিয়া জুলুমবাজ দ্বিতীয় কেউ আছে কিনা আমরা জানিনা। তবে আমাদের প্রিয় দেশে হাসিনা ছিল সেই রুপে।
তিনি বলেন, শত চেষ্টা করেও বিএনপিতে যখন ফাটল ধরাতে পারেনি, তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ দেশের জনগনের উপরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। করা হয়েছিল গুম ও খুন। তারপরেও তাদের নির্যাতনে পিছু না হটে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে জুলাই আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র জনতা। দেশের জনগন তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস করেছে। দীর্ঘ ১৮ বছর পর দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম সৈয়দপুরের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সালাম জানিয়ে বলেন, আগামি দিনে ধানের শীষ ও বিএনপির পক্ষে আমরা সকলে মিলে কাজ করবো। যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে থাকবো ঐক্যবদ্ধ।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, সাবেক সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম জনি, শামসুল আলম, হাফিজ খান এরশাদ হোসেন পাপ্পু, আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, এম এ পারভেজ লিটন, হাফিজ খান, কাজী একরামুল হক, ছাত্রদল নেতা হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, মোমিনুল ইসলাম রাব্বি, যুবদল নেতা তারিক আজিজ, রেজওয়ান আকতার পাপ্পু, মহিলা দল নেত্রী রওনক জাহান রেনু, রুপা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরহাদ হোসেন, শফিকুল ইসলাম বাবু, কৃষক দল নেতা আলফ্রেড টিটু চৌধুরীসহ, তাঁতীদল, মৎস্যজীবি দল, জিয়া মঞ্চ, শ্রমিক দল, জাসাসের নেতৃবৃন্দ।
এসময় নীলফামারী জেলাসহ, কিশোরগঞ্জ, ডোমার ডিমলা, জলঢাকা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার তুহিনকে একনজর দেখাসহ তার বক্তব্য শুনতে সিএসডি মোড়ে জমায়েত হন বিএনপিসহ দলের বিভিন্ন সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও তা উপেক্ষা করে সেখানে অবস্থান নেন তারা। পরে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এলে বিএনপি ছাড়াও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় তাঁকে বরণ করা হয়। এসময় তাঁকে ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে দেন অনেকে। তাদের ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে এসময় তিনি সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানান।পরে তিনি নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তাকে বরণ করতে নীলফামারী জেলা বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি ৪ দিনের সফরে নীলফামারী জেলা, ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা বিএনপির দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। এছাড়া, ওইসব এলাকায় গণসংযোগ এবং পথসভা বক্তব্য রাখবেন। শাহরিন ইসলাম তুহিন তাঁর নিজ গ্রাম গোমনাতিতে চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন করবেন। পরে তাঁর স্ত্রী আয়েশা ইসলামের নামে এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ইমরান