
তিন মাসের ব্যবধানে ৩৭টি গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে
ঈদুল আযহা-কোরবানীর ঈদ আসন্ন আর ঠিক এ সময়কালে ঠাকুরগাঁও জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ (এলএসডি)। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন মাসের ব্যবধানে ৩৭টি গরু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর। তবে স্থানীয় খামারিদের দাবি প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। গরুর শরীরে গুটি ওঠা, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং দুধের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ভাইরাসটিতে। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ি এলাকার খামারি আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার দু’টা গরু মারা গেছে। গরিব মানুষ, এগুলোই ছিল একমাত্র অবলম্বন।
বেগুনবাড়ি গ্রামের খামারি আবু তাহের জানান, তার বিদেশি জাতের একটি বাছুর মারা গেছে। পশু হাসপাতালে নিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বেশ দামি ছিল বাছুরটা।
সদর উপজেলার লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট মনোরঞ্জন রায় হাবুসপাড়া জানান, মাঝিপাড়া, নতুনপাড়া ও মালিপাড়ায় তার তত্ত্বাবধানে অন্তত ১৫-১৬টি গরুর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি গরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুর হক বলেন, জেলার ২৪১টি খামারে তদারকি চালানো হয়েছে এবং ৩ হাজার ৮৭৮টি গৃহস্থালি খামারে নজরদারি চলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ২০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ‘খামারিদের বলা হয়েছে আক্রান্ত গরু আলাদা রাখতে, বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে এবং নিয়মিত টিকা দিতে।’