ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বৃদ্ধ সাঈদের কাঁধে সংসারের বড় বোঝা

এএস সফিক, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ১৮ মে ২০২৫

বৃদ্ধ সাঈদের কাঁধে সংসারের বড় বোঝা

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বাসিন্দারা সাঈদ আলির কণ্ঠে গান শুনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সাঈদ আলির বয়স (৫৫)। তিনি কখনো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হাসপাতাল গেটে, কখনোবা থানার সামনে, আবার কখনো হাট বাজারে, কখনোবা রাস্তায় হেঁটে, এভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি প্রতিদিন গান গেয়ে সংসার চালান। অন্যান্যদের মতো ভিক্ষা না করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা নিজের।
সাঈদ আলী জানান, পড়ালেখার সুযোগ পাননি তিনি। ৭ বছর বয়সে ওস্তাদের নিকট গান শিখেন। এরপর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে গান করেন। সারাদিন যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার চালান তিনি।
সাঈদ আলির জন্ম টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের শেওরাইল গ্রামে। বাবা কিতাব আলী ও মা বাকাতন নেছার কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় সাঈদ আলী। জন্মের ৫ বছর পর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চোখের দৃষ্টি হারান সাঈদ আলী। ঘরে বৃদ্ধ মা, দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান নিয়েই তার সংসার। 
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাটুরিয়া, নাগরপুর ও দৌলতপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে গান করে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ টাকার মতো আয় হয়। তা দিয়েই চলে তার সংসার। গান শুনে খুশি হয়ে অনেকে স্বেচ্ছায় টাকা দেয়। 
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলার সাভার বাজারের ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ বলেন, আমার জীবনে আমি সাঈদ আলির মত লোক খুব কমই দেখেছি। উপজেলার অন্যান্য অন্ধরা ভিক্ষা করে। কিন্তু দৃষ্টি হারানো সাঈদ আলী ভিক্ষা করেন না। তিনি সাটুরিয়া, নাগরপুর ও দৌলতপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে নানা গান গেয়ে জীবন বাঁচান। সবাই তার শুনে খুশি হয়ে টাকা পয়সা দেয়।

সাব্বির

×