ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জাবিতে খাবার দোকানের সসে মিললো কাপড়ের রং, ৫ হাজার টাকা জরিমানা

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ১৮ মে ২০২৫; আপডেট: ০৪:১৩, ১৮ মে ২০২৫

জাবিতে খাবার দোকানের সসে মিললো কাপড়ের রং, ৫ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি ফাস্টফুডের দোকানে সসে ক্ষতিকর কাপড়ের রঙের ব্যবহার ও পুরোনো পচা-বাসি খাবার পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উক্ত দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৭ মে) রাত ৯টার দিকে বটতলার ‘পেটুক’ ফাস্টফুডের দোকানে এ জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, ফাস্ট ফুডের দোকান পেটুক-এ খাবার খেতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের এক ছাত্রী। এসময় তিনি কাবাব, লুচি অর্ডার করেন। খাওয়ার সময় পরিবেশন করা সসের মধ্যে ক্ষতিকর কাপড়ের রঙের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন তিনি।

এসময় সসের মধ্যে রঙের অগলিত অংশের একটি ক্ষুদ্র কণা পান তিনি। বিষয়টি দোকানদারকে জানালে তারা অস্বীকার করে। উল্টো জানায় অন্য দোকানদাররাও সসে রঙ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে খাবারের মান নিয়ে কাজ করা কনসাস কনজুমার সোসাইটির (সিওয়াইবি) সদস্যদের ও প্রক্টরকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে তারা ঘটনাস্থলে এসে খাবারে কাপড়ের রঙ ব্যবহারের প্রমাণ পান। পাশাপাশি দোকানির ফ্রিজের অভ্যন্তরে ছত্রাক জমে থাকা ব্লেন্ড করা পুদিনা, প্রায় একমাস পুরনো পিজ্জার ডো এবং বিভিন্ন পচা-বাসি খাবারের উপস্থিতি পান। এক পর্যায়ে প্রক্টর দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি এ ঘটনা পুনরায় ঘটলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সতর্কতা দেন।

ভুক্তভোগী লোকপ্রশাসন বিভাগের খাদিজা আক্তার স্বর্ণা বলেন, সসের রং যখন আমি দোকানের কর্মচারীকে ডেকে দেখালাম, সে কোনোভাবেই এটা স্বীকার করলো না। এমন ভাব দেখালো যেন এটা কোনো বিষয়ই না। আমার টেবিল পরিষ্কারের তাড়া শুরু হলো তাদের মধ্যে। আমি যখন বললাম, খাবার এখানেই থাকুক, দোকানের সকল কর্মচারীর চোখে-মুখে বিরক্তি ফুটে উঠলো। দোকানের মালিক নিজের দোষ ঢাকতে বটতলার অন্যান্য দোকানের সসে লাল রং মেশানোর কথা বললো, যেন অন্যের দোষের কথা বললে নিজের দোষ মাফ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আরও কঠোর অবস্থান আশা করছি।

কনসাস কনজুমার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক বলেন, সিওয়াইবি জাবি শাখা খাবারের স্বাস্থ্যকর মান নিশ্চিতকরণের জন্য সর্বদাই সচেষ্ট ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করে। আমরা যেকোনো অভিযোগ পাওয়ার সাথেসাথেই সেই স্থানে সমাধানের জন্য সবসময় চেষ্টা করে থাকি। প্রশাসনের প্রতি আমরা আশা রাখি, ভবিষ্যতে আমাদের এই ধরনের কাজে আরো সহযোগিতা করার মাধ্যমে ভোক্তা-শিক্ষার্থীদের খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ এ সহায়তা করবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। দোকানটি মওলানা ভাসানী হলের অধীনে। হল প্রাধ্যক্ষকে অবহিত করেছি। দোকানদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে করলে দোকানের চুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

ওয়াজহাতুল ওয়াস্তি/রাকিব

×