ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাবিপ্রবিতে টেকসই অর্থনীতি ও আন্তঃবিষয়ক গবেষণার প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১৭ মে ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৫, ১৭ মে ২০২৫

হাবিপ্রবিতে টেকসই অর্থনীতি ও আন্তঃবিষয়ক গবেষণার প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি: জনকণ্ঠ

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি)-এর আয়োজনে "ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ইকনোমি" শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২-এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যাহ। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির।

রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি স্কুলের শিক্ষক প্রফেসর ড. শারমিন্দ নিলোৎপল। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ ও প্রফেসর ড. শরীফ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআরটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মন্ডল।

গেস্ট অব অনার প্রফেসর ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম বলেন, “সব মিলিয়ে হাবিপ্রবির পরিসর বেশ বড়। এ ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার আসতে পেরে আমি আনন্দিত।” তিনি বলেন, “আপনাদের সামনে জ্ঞানের কথা বলার কিছু নেই, আমরা হয়তো কিছু ধারণা শেয়ার করতে পারি। সারাদিন আপনাদের সঙ্গে অনেক কথা হবে।” দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এবং আমন্ত্রণ জানানোর জন্য হাবিপ্রবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যাহ বলেন, “বর্তমানে আমরা ব্যক্তিগতভাবে অনেক রিসার্চ করি এবং এক্ষেত্রে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু এসব রিসার্চের সম্মিলিত ফলাফল খুব কমই দেখা যায়।” তিনি বলেন, “এই সম্মিলিত রিসার্চকে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি-আমি এটা জানলেও, সাস্টেইনেবল ইকনোমি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে অনেক রিসার্চ হয়, অনেক সময় ব্যয় করি, কিন্তু এগুলোর যথাযথ স্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন) পাওয়া যায় না। ফলে ৫-১০ বছর আগের গবেষণাও আমরা ভুলে যাই।”

তিনি আরও বলেন, “যে রিসার্চ সাস্টেইনেবল হবে, সেটি ব্যক্তি ও সমাজকে সামনে এগিয়ে নেবে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কৃষি খাতে যে গবেষণা ও উন্নয়ন হয়েছে, তা অভাবনীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত।” শেষে সময়োপযোগী এমন একটি বিষয়কে ঘিরে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

কাওসার/শহীদ

×