
সিরাম ক্রিটিনাইন হচ্ছে রক্ত প্রবাহের উপজাত
সিরাম ক্রিটিনাইন মূলত কি?
সিরাম ক্রিটিনাইন হচ্ছে রক্ত প্রবাহের উপজাত যা মাংসপেশি থেকে সৃষ্টি হয়। মানব দেহের কিডনি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ থেকে ১৭৬ লিটার রক্তকে ফিল্টার করে, এক থেকে দেড় লিটার ইউরিন প্রোডাকশন করে। এই ইউরিন এর সঙ্গে যে বর্জ্য পদার্থগুলো কিডনি বের করে দেয়, তার মধ্যে সিরাম ক্রিটিনাইন অন্যতম। যদি কোনো কারণে এই কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে রক্ত প্রবাহ থেকে সিরাম ক্রিটিনাইন পারফেক্টলি বের করতে পারে না। তখনই রক্তে সিরাম ক্রিটিনাইনের মাত্রা বেড়ে যায়।
কিডনি কখন খারাপের দিকে যায়
কিডনি একটি মানব দেহের মাংসপেশীর ভর ও ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে সিরাম ক্রিটিনাইন এর মাত্রা থাকে। যা ফসফেট ভেঙে তৈরি হয়।
যদি রক্তে এই সিরাম ক্রিটিনাইন এর মাত্রা বেড়ে যায় তবে সাধারণত আমরা ধরে নিতে পারি কিডনি খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
অন্যান্য প্যাথিতে এর পারফেক্ট চিকিৎসা নেই বললেই চলে! তাই উচিত হবে দ্রুত কোনো বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সঙ্গে শরণাপন্ন হয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা।
যা জানা দরকার
একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো, সিরাম ক্রিটিনাইননের মাত্রা রক্তে বেড়ে যায় কিডনি অসুস্থ হলে, এটা যেমন ঠিক তবে কেন ফসফেট প্রয়োজন এর তুলনায় বেশি ভাঙছে? এই দিকে খেয়াল করাও কি উচিত নয়। এই ফসফেট আবার তৈরি হয় ফসফরাস এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে। যদি প্রয়োজনের তুলনায় এই ক্রেটিনাইনের মাত্রা রক্তে অধিক হয় তবে, কোষের গ্রোথ এবং পরিপোষণ ক্ষমতা আস্তে আস্তে নষ্ট হতে থাকে। অঞচ, উ.ঘ.অ এবং জ.ঘ.অ এর ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এমন কিছু বিদেশী
হোমিওপ্যাথি মেডিসিন রয়েছে যার কোনো পার্শ্বক্রিয়া নেই, যে ওষুধগুলো সরাসরি কোষে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই রক্তে এই সিরাম ক্রিটিনাইনের মাত্রা কমিয়ে একমাত্র ওই মেডিসিনই এর নির্ভরযোগ্য সমাধান দিতে পারে।
আপনার কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নয়নে ও সুস্থ রাখতে এখনই সচেতন ও চিকিৎসা নিয়ে সুন্দর জীবন লাভ করুন।
লেখক : সিনিয়র কনসালটেন্ট ও গবেষক, চেম্বার : ডা. রাইসুর’স ক্লিনিক, হাকিম টাওয়ার (দ্বিতীয় তলা) মধ্য বাড্ডা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১৯-৪৫৬-৩৯৮