‘একটি দুঃস্বপ্নের রাত’ নাটকের একটি দৃশ্য
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকা শহরে কার্ফু চলছে। শহর অবরুদ্ধ হয়ে আছে পাকিস্তানি সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে। সেই রাতে জামান সাহেব ও সেলিনা বেগম দম্পতি অপেক্ষায় আছেন তাদের একমাত্র ভার্সিটি পড়ুয়া সন্তান জাহিদের ঘরে ফেরার। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ে কেউ। দরজা খুলে দেখে জাহিদ নয়, অপেক্ষমান বাবা-মায়ের সামনে হাজির এক তরুণী। নাম তার হাসি। সেও ভার্সিটিতে পড়ে।
তার কাকুতি-মিনতিতে সে রাতে ওই তরুণীকে নিজের ঘরে আশ্রয় দেন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের সন্তান জাহিদও ঘরে ফেরেন। ভার্সিটি পড়ুয়া এই দুই তরুণ-তরুণীর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা নিয়ে আলাপ হওয়ার পর তারা একে অন্যের জন্য টান অনুভব করেন এবং তারা যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মাঝ রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে পাকিস্তানি আর্মিরা। তারা খুঁজতে থাকে জাহিদকে। বাবার-মায়ের জোরাজুরিতে জাহিদ বাগানে আশ্রয় নেয়।
জাহিদকে না পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাহিদের বাবাকে আঘাত করে হাসিকে তুলে নিয়ে যায়। বাবা মায়ের চিৎকারে জাহিদ ঘরে ফিরে ক্রোধে ফেটে পড়ে। এরপর সব বাধা উপেক্ষা করে জাহিদ বাসা থেকে বেরিয়ে নির্জন রাস্তা দিয়ে ছুটতে থাকে ক্যাম্পের উদ্দেশে। প্রতিশোধের নেশা জাহিদকে পেয়ে বসে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এমনই এক শ্বাসরুদ্ধকর গল্প নিয়ে নির্মিত হলো ২৬ মার্চের বিশেষ নাটক ‘একটি দুঃস্বপ্নের রাত’।
নান্নু চৌধুরীর রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, চিত্রলেখা গুহ, মোহাম্মদ বারী। নির্মাতা মাহবুবা ফেরদৌস বলেন, নাটকটির গল্পে প্রেম ও যুদ্ধের সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি। নাটকটি প্রচার হবে আজ রবিবার রাত ৯টায়, বিটিভিতে।