
ছবি: সংগৃহীত
প্রযুক্তি যখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, তখন বহু পেশাই ঝুঁকির মুখে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র এমন আছে, যেখানে মানুষের ভূমিকাকে এখনই পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারছে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)।
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সম্প্রতি ‘দ্য টুনাইট শো স্টারিং জিমি ফ্যালন’ অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এমন তিনটি ক্ষেত্রের কথা বলেছেন যেখানে মানুষের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা এখনো AI-এর ধরাছোঁয়ার বাইরে।
১. জীববিজ্ঞান
বিল গেটস বলেন, “বিজ্ঞানী যখন কোনো নতুন চিকিৎসা আবিষ্কারের পথে hypothesis তৈরি করেন, সেটি নিছক তথ্যের খেলা নয়। এখানে মানবিক বোধ ও তাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা কাজ করে।”
AI হয়তো তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে, কিন্তু একজন দক্ষ জীববিজ্ঞানীর ন্যায় তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ, আবিষ্কারে প্রবৃত্তি ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় করতে পারে না।
২. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
বিল গেটস জানালেন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে AI সহায়ক হতে পারে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃত সৃজনশীলতা আসে মানুষের কাছ থেকেই।
“AI প্রোগ্রামিং করতে পারে, কিন্তু সমস্যা সমাধানে সৃষ্টিশীল পথ খুঁজে বের করা, নতুন ফিচার উদ্ভাবন করা কিংবা ভবিষ্যতের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তি তৈরি—এসব এখনো মানুষের ওপর নির্ভরশীল,” বলেন গেটস।
৩. জ্বালানি খাত
জ্বালানি খাতকে গেটস বলছেন তৃতীয় অপরিবর্তনীয় ক্ষেত্র। “নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট চালানো, পাওয়ার গ্রিড নিয়ন্ত্রণ, বন্যার সময় বাঁধের সুরক্ষা নিশ্চিত করা—এসব এমন কাজ যা AI এখনো একা করতে পারে না।”
তিনি উদাহরণ দেন এমন একটি ডকুমেন্টারির, যেখানে একত্রে কাজ করেছে AI ও মানব বিশ্লেষণ। সঠিক সময়ের মানবিক হস্তক্ষেপেই একটি বড় ধরণের পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয় ঠেকানো গেছে।
বিল গেটস মনে করেন, আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকতে চাইলে আমাদের আরও বেশি করে মানুষ হিসাবে গুণাবলি অর্জন করতে হবে—সৃজনশীলতা, কৌশলগত সিদ্ধান্ত, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি।
মুমু ২