ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত: ১১:০২, ৯ মে ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ উচ্চশিক্ষা এবং কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমায়।

বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে  শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশগুলো। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ উচ্চশিক্ষা এবং কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমায়। এর ফলে দিনদিন দেশটির জনসংখ্যা বাড়ছে, সেইসঙ্গে বাড়ছে দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয়। তাই অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ধাপগুলোতে কঠোর করছে অস্ট্রেলীয় সরকার।

আবারও স্টুডেন্ট ভিসার নিয়মে পরিবর্তন আনছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। আগামী শুক্রবার থেকে স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম আরও কঠোর করছে দেশটি।

আরও পড়ুন : ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ আগামীকাল!

বুধবার (৮ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

জানা যায়, রেকর্ড অভিবাসী আগমনের কারণে শুক্রবার থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এবার থেকে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার) সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল। স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন এই নিয়ম ঘোষণার পাশাপাশি অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করা হয়েছে।

করোনাকালীন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সরকার স্টুডেন্ট ভিসায় অনেক ছাড় দেয়। ওই সময় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বর্তমান সরকার জানিয়েছে ভিসার নিয়ম কঠিন করা হবে যেটির মাধ্যমে অভিবাসীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জায়গায় কর্মীর সংকট দেখা দেয়। এরপর ২০২২ সালে বার্ষিক অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয় দেশটি। তবে এরপর হঠাৎ করে অসংখ্য অভিবাসী ও শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় আসার বাড়ি ভাড়া সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাসমিম

সম্পর্কিত বিষয়:

×