ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শিক্ষা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

শিক্ষা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ফাইল ছবি

ঘুষ দিয়ে বা অনৈতিক কোনো উপায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ অথবা পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে’এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

দুই দফা পেছানোর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ৮ ডিসেম্বর তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ২ ডিসেম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেন প্রার্থীরা। প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার কেন্দ্রে ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে। তবে ২১ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় তা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।

 

এসআর

×